পদ্মা ব্যাংকের‌ আমানতকারীরা এক্সিম ব্যাংক থেকে আমানত তুলতে পারবেন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৪ |  আপডেট  : ১৮ মে ২০২৪, ১২:২৭

সোমবার (১৮ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকে পদ্মা ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক একীভূত হওয়ার বিষয় সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়।

চুক্তি স্বাক্ষর শেষে সাংবাদিকদের পদ্মা ব্যাংকের‌ আমানতকারীরা এক্সিম ব্যাংক থে‌কে আমানত তুল‌তে পারবেন বলে জানিয়েছেন এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।

নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, পদ্মা ব্যাংকে একীভূত করার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো চাপ ছিল না, তবে সরকারের পক্ষ থেকে পরামর্শ ছিল। আমরা এটা করেছি দেশের স্বার্থে, দেশের অর্থনীতির স্বার্থে। পদ্মাকে একীভূত করা হলেও আমানতকারীদের কোনো সমস্যা হবে না, সবাই নিরাপদে থাকবেন। পদ্মা ব্যাংকের আমানতকারীরা এক্সিম ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারবেন।

তিনি বলেন, দেশে প্রথমবারের মতো একীভূত হলো বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংক এবং পদ্মা ব্যাংক। এর ফলে পরিচালনা পর্ষদে সব ধরনের সিদ্ধান্ত নেবেন এক্সিম ব্যাংকের পরিচালকরা। দুই ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সে বিষয়ে প্রক্রিয়া চলছে। পদ্মা ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তারই চাকরি যাবে না। 

নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, পদ্মায় জাল ফেলেছে এক্সিম ব্যাংক। এখন ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরার পালা। এক বছরের মধ্যে পদ্মা ব্যাংক ভালো হয়ে যাবে। চাইলে পদ্মা ব্যাংকের যে কোনো ব্যক্তিগত আমানতকারী তার টাকা এক্সিম ব্যাংক থেকেই তুলে নিতে পারবেন। পদ্মা ব্যাংকের সকল দায়ভার এখন থেকে গ্রহণ করল এক্সিম ব্যাংক। এর আগে শ‌রীয়াহ ভি‌ত্তিক বেসরকারি এক্সিম ব্যাংক ও চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে দু‌টি ব্যাংকের পর্ষদে অনুমোদন হয়।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে জানান, আমানতকারীদের সুরক্ষা দিতে দুর্দশাগ্রস্ত পদ্মা ব্যাংককে অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হ‌বে।

এদি‌কে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূত (মার্জার) করতে একটি রোডম্যাপ ঠিক করার পাশাপাশি ব্যাংকগুলোকে এক বছর সময় দিয়ে ‘প্রম্পট কারেক্টিভ অ্যাকশন’ বা পিসিএ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে  নিয়ে যাচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার, মূলধনের পর্যাপ্ততা, নগদ অর্থের প্রবাহ, ঝুঁকি-ভিত্তিক সম্পদের তথ্যকে প্রাধান্য দিয়ে আর্থিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সূচক ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। সেই সূচকে কাঙ্ক্ষিত মানদণ্ডের নিচে থাকা ব্যাংকগুলোকে ‘দুর্বল’ শ্রেণিভুক্ত করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। দুর্বল ব্যাংক টেনে তোলার শেষ পদক্ষেপ হিসেবে অন্য ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার বিষয়টি আসবে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংক হেলথ ইনডেক্স অ্যান্ড হিট ম্যাপ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে জানায়, এখন দেশে সবলের চেয়ে দুর্বল ব্যাংকের সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে। এর মধ্যে ১২টির অবস্থা খুবই খারাপ; এছাড়া ৯টি ব্যাংক ইতোমধ্যে রেড জোনে চলে গেছে। অপর ৩টির অবস্থান ইয়েলো জোনে অর্থাৎ রেড জোনের খুব কাছাকাছি রয়েছে। সব মিলিয়ে ৩৮টি ব্যাংককে দুর্বল ব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর স্বাস্থ্য ভালো আছে ১৬টি ব্যাংকের।

সাই

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত