পঞ্চগড়ে কমে গেছে রড সিমেন্ট বিক্রি
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:৫৭ | আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:২৩
পরিবর্তিত পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে নানা পর্যায়ে। কমেছে ব্যক্তি থেকে প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে উন্নয়ন কাজের গতিশীলতা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রান্তিক ও জনগোষ্ঠির মাঝে নেতিবাচক প্রভাব বিরাজমান।
পঞ্চগড়ে রড সিমেন্টে ব্যবসায়িরা কিছুটা অলস সময় পার করছেন। দুমাসের অধিক সময় ধরে এ অবস্থা চলছে বলে সরজমিনে গেলে এমন অবস্থা দেখা যায়। এছাড়া সরকারি দপ্তরগুলোতে কাজের গতি কমে যাওয়ায় তারও একটি বড় প্রভাব পড়েছে মাঠে-ঘাটে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে। ফলে রাজমিস্ত্রী ও তাদের সহযোগীরাও বিপাকে পড়েছে।
এছাড়া গ্রামীণ ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন কাজও প্রায় স্থবির। সরকারের সেবাদানকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজের গতিশীলতা থমকে আছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বছরের আগষ্টেই অর্থ ছাড় করা হতো। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে এডিপি অন্যতম। নাম না প্রকাশের শর্তে জানা যায়, এবার প্রথম কিস্তির বরাদ্দ পাওয়া গেছে অক্টোবরের শেষে। অথচ এতোদিন একটি টেন্ডার আহবান করার কথা।
ঠিকাদার শাহাদত হোসেন রঞ্জু জানান রড সিমেন্টের দাম কমেছে। প্রতিটন রড এখন পাইকারিতে ৮০ হাজার থেকে ৮২ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আগে লাখ টাকায় উঠেছিল। এছাড়া সরকারি ভাবে বিটুমিন প্রতি ব্যারেলে চারশত টাকা থেকে পাঁচশত টাকা হ্রাস করা হয়েছে।এদিকে রড সিমেন্টের খুচরা ব্যবসায়ি ইসাহাক আলী জানান, দাম কমেছে কিন্তু দুইমাসের বেশি সময় ধরে বেচা বিক্রি কমে গেছে। ঠিকাদার মো. সাইফুল আলম বলেন ‘ কাজ করছি এলজিইডির কিন্তু বরাদ্দ নাই।এছাড়া সাবঠিকাদার মনসুর আলী জানান কাজ আছে আগের। এখন টেন্ডার হবে কাজ নিতে হবে। তবে একটু স্লো কাজ কর্ম। পঞ্চগড়ের বিশিষ্ট রড সিমেন্ট ব্যবসায়ি আব্দুল হান্নান শেখ বলেন বেচাকেনা একবারে নাই বললে চলে। কর্মচারীদের বেতন দিতে গিয়ে হিমশিম আছি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত