পঞ্চগড়ে আ’লীগ-বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ আটক,৭

  মোঃ কামরুল ইসলাম কামু

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৭ |  আপডেট  : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৪

পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সিপাইপাড়ায় দোকানঘরকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ। 

এঘটনায় দুপক্ষের ১৪ জন আহত হয়েছে। আটক করা হয়েছে ৭ জনকে।সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এঘটনার সূত্র ধরে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলনের বাড়ীতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় সোমবার দুপুরে স্থানীয় এক বিএনপির সমর্থক হোটেল ওই সিপাইপাড়া বাজারে এক ব্যবসায়ীর দোকানে হামলা-ভাঙচুর চালান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই খুদা মিলনের সমর্থকরা। খবর পেয়ে বিএনপির সমর্থকরা সেখানে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধেঁ। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৪ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে আহতরা হলেন; আরিফ হোসেন (২৩),সোহরাব আলী (৩৬), হিমেল (৪৯), জাফর আলী (৪৫), আইয়ুব আলী (৩৬), আশিকুর রহমান (২৮), আজিজুল হক (৪৫), ফরিদুল ইসলাম (৩২)।আহত অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি ফিরে যান। 

এসময় খবর পেয়ে পুলিশ-বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আটককৃতরা হলেন- তিরনইহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা আহসান হাবিব, জিয়ারুল, আনছার আলী, আনিছুর রহমান, ইউসুফ পাভেল, বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের রুস্তম মাহমুদ ও আব্দুর রহমান। তেঁতুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পাঁচটি রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এসময় ৭ জনকে আটক করা হয়। এর মধ্যে তিন জন সংঘর্ষে আহত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনও কোনও পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনার পর ওই এলাকায় পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।’এ বিষয়ে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব রাশেদ আলী সরকার বলেন, ‘মিলন চেয়ারম্যানের ভাড়াটে লোকজন দুপুরে সিপাইপাড়া বাজারে শোডাউন দিয়ে বেড়াচ্ছিল। একপর্যায়ে তারা আমাদের লোকজনের দোকানপাটে হামলা করে। ঠেকাতে গেলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।’

বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কুদরত-ই-খুদা মিলন বলেন, ‘অনেকদিন ধরে আমি ও আমার পরিবার এলাকার বাইরে অবস্থান করছি। সোমবার দুপুরে কোনও কারণ ছাড়াই বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আমার বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের পর লুটপাট করেছে। এছাড়া আমার ব্যবহৃত গাড়ি ও একটি ট্রাক্টরে আগুন দেয়। এসময় ঘরে রক্ষিত নগদ একলাখ ৬০ হাজার টাকা, আট ভরি স্বর্নালঙ্কার লটপাট সহ ফ্রিজ, টিভি এসি ও আসবাপত্র ভাংচুর করে।

 

সান

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত