নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীছাউনি না থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ  

  নাজমুল হুদা, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি  

প্রকাশ: ৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:১৮ |  আপডেট  : ৯ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৪০

বগুড়ার নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে কোনো যাত্রীছাউনি না থাকায় প্রতিদিন রোদ-বৃষ্টিতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়স্ক যাত্রীদের সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে দেশের বিভিন্নস্থানে যাওয়ার জন্য শতশত যাত্রী বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশ যাত্রী বগুড়া ও রাজশাহীগামী। খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ বাসের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে তারা। অনেক সময় বৃষ্টির পানিতে ভিজে কিংবা প্রখর রোদে পুড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাদের। এ অবস্থায় অনেক যাত্রী আশ্রয়ের খোঁজে পাশের দোকানের সামনে দাঁড়িয় থাকতে দেখা যায়। এতে দোকান মালিকরা বিরক্তবোধ করায় যাত্রীদের বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়। গন্তব্যের বাস এলেই তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দৌড়ে বাসে ওঠে।

ভুক্তভোগী যাত্রীদের দাবি, নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে জরুরী ভিত্তিতে একটি স্থায়ী যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা প্রয়োজন। যাত্রী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে প্রতিদিন গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হয়। একটা যাত্রীছাউনি থাকলে অন্তত একটু স্বস্তি পেতাম। কলেজছাত্র মনিরুল ইসলাম বলেন, কলেজে যেতে প্রতিদিন বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়াতে হয়। প্রখর রোদ বা হঠাৎ বৃষ্টি হলে আমরা বিপদে পড়ি। কোনো দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালে দোকানদাররা অস্বস্তিবোধ করেন। তাই দ্রুত নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা প্রয়োজন। অটোরিকশা চালক শহিদুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির সময় যাত্রীদের খুব কষ্ট হয়। দোকানের সামনে দাঁড়াতে গেলে দোকানদাররা সরে যেতে বলে। গাড়ি এলেই দৌড়ে বৃষ্টিতে ভিজে গাড়িতে উঠতে হয়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, যাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি আমার জানা আছে। অতি শীঘ্রই নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি যাত্রীছাউনি নির্মাণ করা হবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত