নন্দীগ্রামে কমছে আলুর চাষ, বাড়ছে সরিষা

  নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১৮:৩২ |  আপডেট  : ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:৩৫

চলতি রবি মৌসুমে বগুড়ার নন্দীগ্রামের কৃৃষকরা সরিষা চাষে ঝুঁকেছে। আলু চাষে টানা ২ বছর লোকসানের অংকগুণে তাঁরা এবার সরিষার চাষ করেছে। এছাড়া আলু চাষে যে খরচ ও পরিশ্রম হয় সে তুলনায় সরিষা চাষে খরচ ও পরিশ্রম অনেক কম হয়। তাছাড়া এখন বাজারে তেলের দামও বেশি থাকায় সরিষা চাষে লাভ বেশি হয় বলে কৃষকরা জানান । 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত রবি মৌসুমে এ উপজেলায় ৪ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছিলো । এবার এ পর্যন্ত বেড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। গত রবি মৌসুমে ৩ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছিলো। এবার ৯শ’ ৫৩ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। 

বাদলাশন গ্রামের কৃষক জালাল উদ্দিন জানান, এবার ৮০ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছি। আর ৩ বিঘা জমিতে আলুর চাষ করি। গতবার ১০ বিঘা জমিতে আলু ছিলো। আলু চাষে খরচ ও পরিশ্রম বেশি হয়। আলু লাগানো জমিতে বোরো ধান খুব ভালো হয় না। এজন্য সরিষার চাষ বেশি করেছি। কম খরচ ও কম পরিশ্রমে সরিষায় ভালো লাভ হয়। আবার বোরো ধানও ভালো হয়। প্রতি বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে ৩৫-৩৬ হাজার টাকা ব্যয় হয়। দোহার গ্রামের  কৃষক শ্রীকৃষ্ণ চন্দ্র বলেন, এবার আলুর চাষ করিনি সরিষার চাষ করেছি। গত বছর ২ বিঘা জমিতে আলুর করেছিলাম। ফলন ভালোই হয়েছিলো। কিন্তু দাম ভালো পাইনি। সরিষার চাষ করলে ঠিক সময়ে বোরো ধান লাগানো যায়। সরিষা চাষে প্রতি বিঘা জমিতে ৬-৭ হাজার টাকা ব্যয় হয়। এছাড়াও সরিষার জমিতে ধানের ফলন ভালো হয়। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু বলেন, উপজেলার কৃষকরা আলু চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। বেশিরভাগ কৃষক এবার সরিষার চাষ করেছে। উপজেলা কৃষি অফিস হতে কৃষকদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। চলতি রবি মৌসুমে প্রণোদনার আওতায় এ উপজেলার মোট ৪ হাজার ৩৩০ জন কৃষককে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত