নন্দীগ্রামে আলুর বাম্পার ফলন ও বাজারমূল্য বেশি পাওয়ায় খুশি চাষিরা 

  নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪৮ |  আপডেট  : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:০৫

বগুড়ার নন্দীগ্রামে রবি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। সেই সাথে  আলুর বাজার মূল্য বেশি পাওয়ায় খুশি আলু চাষিরা। আর জমি থেকেই আলুর উচ্চমূল্য পেয়েছে তারা। এবার আলুর বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় গত বছরের কিছুটা লোকসান পুষিয়ে নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে আলু চাষিরা। এমন কথাই বলেছেন কয়েকজন আলু চাষি। 

এই উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৫টি ইউনিয়নে আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করে আলু চাষিরা। অন্যদিকে সকাল থেকেই আলুর বস্তা প্যাকেট করে জমি থেকে সারিবদ্ধভাবে বাইসাইকেল দিয়ে সড়কের ধারে বস্তার সারি করতে ব্যস্ত সময় অতিক্রম করে শ্রমিকরা। অল্প পরিশ্রমে বেশি টাকা পাওয়ায় এই উপজেলার অনেক শ্রমিক ঝুকে এ পেশায়। আলুর বাজারমূল্য ও চাহিদা বেশি থাকায় ক্রেতারা আলু চাষিদের নিকটে গিয়ে জমি থেকে আলু ক্রয় করে নিয়ে যায়। বর্তমানে ২২ থেকে ২৩ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। 

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এবার উপজেলায় ৩ হাজার ৩০৭ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়। যা গত বছরের তুলনায় অনেকটা বেশি। উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের  রিধইল গ্রামের আলু চাষি জয়নাল আবেদীন বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে বীজ, শ্রমিক, সার, ঔষধ, সেচ ও আলু তুলতে সব মিলিয়ে আমার ৩৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। আর প্রতি বিঘায় আলু পেয়েছি ৯০ থেকে ১০০ মণ হারে। প্রতি মণ আলু বিক্রি করেছি ১১৫০ থেকে ১২০০ টাকা দরে। এতে আমার বিঘা প্রতি ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন, রবি মৌসুমে শীতের কারণে আলু আবাদে চাষিরা কিছুটা শঙ্কিত থাকলেও যথা সময়ে তারা আমাদের নিকট থেকে পরামর্শ নিয়েছে এবং পরিমিত ঔষধ স্প্রে করে আলুর ভালো ফলন পেয়েছে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে আলুর আবাদ বেশি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক  বলেন, এই উপজেলায় এবার ৩ হাজার ৩০৭ হেক্টর জমিতে আলুর চাষাবাদ হয়। আর আলু উৎপাদন হয়েছে ৮৬ হাজার ৫১৪ মেট্রিক টন। যা গত বছরের তুলনায় এবার আলু উৎপাদন বেশি হয়। যে কারণে আলু চাষিরা অনেকটা লাভবান হয়েছে। এতে আমরাও খুশি হয়েছি। 


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত