ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানোর মতো কর্মসূচি নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে ডেনমার্ক ও সুইডেন
প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৩, ১৭:২৮ | আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:২৬
নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক উদ্বেগের কারণে কোরআন বা অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানোর মতো কর্মসূচি নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে ডেনমার্ক। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও এ ধরনের বিক্ষোভ চরমপন্থীদের আকৃষ্ট করে; যা নিরাপত্তা হুমকির সৃষ্টি করে।
ডেনমার্ক সরকার জানিয়েছে, দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভসহ কিছু পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করার আইনি উপায় দেখছে তারা।
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীও একই পথে হাঁটছেন বলে জানা গেছে।
স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এই দুই দেশ সম্প্রতি একাধিক বিতর্কিত বিক্ষোভের অনুমতি দেয়। এসব কর্মসূচিতে ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানো হয়। যার ফলে কয়েকটি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় ডেনমার্ক ও সুইডেনের।
বিবৃতিতে ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা এমন কিছু বিক্ষোভে হস্তক্ষেপ করতে চায় যেখানে অন্য দেশ, সংস্কৃতি এবং ধর্মের অবমাননা করা হচ্ছে। কারণ এগুলো ডেনমার্কের জন্য নেতিবাচক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
বিবৃতিটি বিশেষভাবে স্বীকার করা হয়েছে যে এই বিতর্কিত প্রতিবাদগুলো ডেনমার্কের আন্তর্জাতিক খ্যাতির ওপর প্রভাব ফেলছে। যদিও মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়ে সরকার সোচ্চার থাকবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে বিবৃতিতে।
একটি আলাদা বিবৃতিতে সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসনও একই কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ডেনমার্ক সরকার যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তার সরকারও সেই পথেই হাঁটছে। ডেনিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ করছেন।
ইনস্টাগ্রামে তিনি লেখেন, আমরা ইতোমধ্যে আইনি বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করতে শুরু করেছি। সুইডেন এবং বিশ্বজুড়ে সুইডিশদের নিরাপত্তা জোরদার করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এই দুটি বিবৃতি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কোরআন পোড়ানোর পর আসে। জুনে সুইডেনে বসবাসরত এক ইরাকি খ্রিস্টান শরণার্থী স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরে কোরআনের একটি অনুলিপি পুড়িয়ে দেন।
এরপর ওই ব্যক্তিকে গত সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো কোরআন পোড়ানোর অনুমতি দেয় সুইডিশ পুলিশ। যদিও পরে তিনি তা করতে পারেননি।
এরই ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহে ডেনমার্কের অতি-ডানপন্থি দুই ব্যক্তি কোপেনহেগেনে ইরাকের দূতাবাসের বাইরে কোরআনের অনুলিপিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত