দশ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়েছে
প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:৫৫ | আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২০
সরকার বিগত বিএনপি আমল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় অন্তর্ভূক্তদের মধ্য থেকে ১০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করেছে।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
নুরুন্নবী চৌধুরী তার প্রশ্নে কতজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করা হয়েছে তা জানতে চান। উত্তরে মন্ত্রী বলেন, দেশে গেজেটধারী বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৬০জন। ২০০২ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে যাদের নাম বেসামরিক গেজেটে প্রকাশিত হয়েছিল যাচাই-বাছাই করে তার মধ্য থেকে প্রায় ১০ হাজার জনের নাম বাতিল করা হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন অন্তর্ভুক্তি এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নাম বাতিল সংক্রান্ত যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের আরেক সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ১৭০০ সদস্যের পরিবারকে সরকার রাষ্ট্রীয় সন্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ১৩টি পরিবারকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। বাকি সম্মাননার ক্রেস্টগুলিতে মূল্যবান ধাতু রৌপ্য দ্বারা নির্মিত স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতি থাকায় তা নিরাপত্তা হেফাজতে সংরক্ষণ করা হয়েছে। যা বাংলাদেশ ব্যাংকে সুরক্ষিত ভোল্টে রাখা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্রেস্ট প্রাপকের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সদস্য বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের উত্তরে আকম মোজ্জাম্মেল হক বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে ইস্যুকৃত সাময়িক সনদের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে। সব বীর মুক্তিযোদ্ধার অনুকূলে ডিজিটাল সনদ (স্থায়ী সনদ) এবং জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে ডিজিটাল স্মার্ট আইডি কার্ড দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ডিজিটাল সনদ তৈরি সম্পন্ন হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) মাধ্যমে একযোগে বিতরণ করা হবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত