তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চায় ভারত : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৯ মে ২০২৪, ১৫:৩১ |  আপডেট  : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৪৫

তিস্তা প্রকল্পে ভারত অর্থায়ন করতে চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে হাছান মাহমুদ তিস্তায় দেশটির অর্থায়নের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, তিস্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিস্তায় আমরা একটা বৃহৎ প্রকল্প নিয়েছি। ভারত সেখানে অর্থায়ন করতে চায়। আমি বলেছি, তিস্তায় যে প্রকল্পটি হবে সেটা আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী হবে। আমাদের প্রয়োজন যেন পূরণ হয়। ভারত যে এক্ষেত্রে সহায়তা করতে চাইছে, সে বিষয় নিয়েই আজকে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক। অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক। যে সম্পর্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আমরা কানেক্টিভিটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

ভারতের ওপর দিয়ে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ফিজিক্যাল কানেক্টিভিটি নিয়ে আলোচনা করেছি। সেটা অনেক দূর এগিয়েছে। বিশেষ করে, নেপাল এবং ভুটানকে ট্রানজিট দেওয়া এবং এ দুই দেশ থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা। ইতোমধ্যে নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করার ক্ষেত্রে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে। ট্যারিফ নিয়েও আলোচনা অনেকটা চূড়ান্ত হয়েছে। সেটি আমাদের ক্রয় কমিটেতে যাবে। সেটি হলে ভারতের ওপর দিয়ে আমরা নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে পারব।

তিনি বলেন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার করার ওপর আমরা গুরুত্বারোপ করেছি। তিনি (কোয়াত্রা) জানিয়েছেন, তাদের বর্ডার সিকিউরিটি গার্ডকে নির্দেশনা দিয়েছেন এবং তারা সেটি অনুসরণও করেন। তাদের আন্তরিকতার অভাব নেই। এটি নিয়ে দুদেশের সরকারি এবং রাজনৈতিক পর্যায়ে আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা সহজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রতি বছর বাংলাদেশির জন্য ১৬ থেকে ১৭ লাখ ভিসা ইস্যু করে ভারত। বিশ্বে সর্বোচ্চ ভিসা ইস্যু করে বাংলাদেশে। অনেক সময় ভিসা পেতে অপেক্ষা করতে হয়, সেটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, এখানকার (বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রে) সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তারা আরও লোকবল নিয়োগ করছেন এবং কোনো উদ্ভাবনী প্রক্রিয়ায় করা যায় কি না তা দেখছেন। আমি অনলাইনের কথা বলেছি। অনলাইনে আবেদন করার কথা বলেছি, যেন সহজে মানুষ ভিসা পায়। তারা এ বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক।

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত