তিনি পিতার কথা মানলে সংগীত জগত একজন কিংবদন্তী পেত না
প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৩, ১২:০৩ | আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:০৪
উস্তাদ নুসরাত ফতেহ আলি খান পাকিস্তানের কিংবদন্তিতুল্য সঙ্গীত শিল্পী, বিশেষ করে ইসলামের সুফিবাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ আধ্যাত্বিক সঙ্গীত কাওয়ালির জন্য বিশ্বনন্দিত। তার অসাধারণ কণ্ঠের ক্ষমতার জন্য তাকে রেকর্ডকৃত কণ্ঠে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এবং তিনি একটানা কয়েক ঘণ্টাযাবত একই তালে কাওয়ালি পরিবশেন করতে পারেন। প্রায় ৬০০ বছরের পারিবারিক কাওয়ালি ঐতিহ্যের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠে, তিনি কাওয়ালি সঙ্গীতকে বিশ্বসঙ্গীতে পরিণত করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। তিনি শাহেন শাহ এ কাওয়ালি, যার অর্থ কাওয়ালির রাজাদের রাজা, হিসেবে বেশ জনপ্রিয়।
নুসরাত ১৯৪৮ সাল ফয়সালাবাদের এক পাঞ্জাবী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ফতেহ আলী খান, একজন সংগীততত্ত্বিক, গায়ক, বাদক, এবং কাউয়াল, এর পঞ্চম সন্তান এবং ছেলে সন্তানদের মধ্যে প্রথম পুত্র সন্তান। খান পরিবার, যেখানে চার বড় বোনসহ এক ছোট ভাই ফররুখ ফতেহ আলী, কেন্দ্রীয় ফয়সালাবাদে বেড়ে উঠে। প্রথমদিকে, তার পিতা চাননি যে নুসরাত পারিবারিক পেশায় আসুক। তিনি চেয়েছিলেন নুসরাত অনেক সম্মানিত একটি পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করুক এবং একজন ডাক্তার হন, কারণ তিনি মনে করতেন, কাওয়ালি শিল্পীরা নিম্ন সামাজিক মর্যাদার অধিকারী। যাইহোক, নুসরাত কাওয়ালির প্রতি এমন এক প্রবণতা, এবং আগ্রহ দেখালেন যে তার পিতা অবশেষে নিজের ইচ্ছা ত্যাগ করেন।
১৯৮৬ সালে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক প্রাইড অফ পারফরম্যান্স পুরস্কার প্রদান করেন সংঙ্গীত এ উলেখ্যযোগ্য অবদান এর জন্য।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত