ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বেহাল অবস্থা, যানজটে জনদুর্ভোগ
প্রকাশ: ২ আগস্ট ২০২৩, ১৩:৫৭ | আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:২৬
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান, রাজধানীতে প্রবেশ করার সবচেয়ে ব্যস্ততম স্থানের একটি। আন্তঃনগর ও লোকাল মিলে একদিনে হাজারখানেক বাস ও অন্যান্য পরিবহণ চলাচল করে এই রাস্তায়। মাতুয়াইল থেকে ৩.৩ কিলোমিটার পর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান হচ্ছে যাত্রাবাড়ি বাস টার্মিনাল। মহাসড়কে ফ্লাইওভারসহ চার লেনের আসাও যাওয়ার উন্নত পিচঢালা রাস্তা। তবে নগরীর ব্যস্ততম স্থানের মাঝে শনির আখড়ার পরেই কাজলা থেকে যাত্রাবাড়ি কাঁচাবাজার পর্যন্ত রাস্তার বেহাল অবস্থা। যাত্রাবাড়ি থানাটিও দাঁড়িয়ে আছে ভাঙ্গা রাস্তার উপরেই। বিশাল বড় বড় অগভীর গর্তের মত সৃষ্টি হয়েছে পুরো সড়ক জুড়ে। যেখানে এক লেনে দু'টি বাস চলার জায়গা আছে সেখানে ভাঙ্গা রাস্তার কারণে বড় বাসগুলো পার হতে বেশি জায়গা প্রয়োজন হয়। তাই একটি একটি করে পরিবহণ খুব সাবধানতার সাথে রাস্তাটি পার করে থাকে। এই অবস্থায় কাজলায় সৃষ্টি হয় অসহনীয় যানজট। কাজলা থেকে যাত্রাবাড়ি কাঁচাবাজার প্রায় এক কিলোমিটার। কিন্তু এতটুকু রাস্তা যেতে একটি গাড়ির প্রায় দেড় ঘন্টা সময় ব্যয় হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, আজ বুধবার সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে, তাই রাস্তা ভেঙ্গে বেরিয়ে আসা বালি ও ইটের অনেক অংশে সরে গেছে। আজ সকাল ১০টায় কাঁচপুর হতে ঘাটারচরগামী ঢাকা নগর পরিবহন প্রায় দুই হাত কাঁদায় ডুবে যায়। এর কারণে পিছনের আন্তঃনগর বাস সহ খিলগাও-উত্তরাগামী বাসগুলোও আটকে গেছে আর শুরু হয়েছে তীব্র যানজট। বাস উদ্ধারের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। ঢাকা নগর পরিবহণের চালক বলেন, প্রতিদিন এই রাস্তা পার করে আসা-যাওয়া করাটা চালক এবং যাত্রী দুই পক্ষেই কষ্টকর। দ্রুত রাস্তা ঠিক না করলে বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে, তখন এর দায় কে নিবে!
একজন নারী যাত্রী বলেন, ফ্লাইওভারের বাসে উঠা নারীদের জন্য কষ্টকর, গুলিস্তান-মতিঝিল ও নিউমার্কেট-সাভারগামী ফ্লাইওভারের বাসে দরজা অব্দি মানুষ ঝুলে থাকে। এই অবস্থায় নারীদের কোনা জায়গা থাকেনা। তাই ফ্লাইওভারের নিচের বাস একমাত্র ভরসা, কিন্তু এত ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করা একজন নারীর পক্ষে কতটা কষ্টদায়ক বলে বুঝানো সম্ভবনা। প্রতিনিয়ত অফিসে দেরিতে পৌঁছাচ্ছি, যার কারণে অফিসে আমার রেপুটেশন নষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া একজন গর্ভবতী নারী ও অসুস্থ বা অপারেশনের রোগীর তো কোনমতেই এই এই রাস্তায় যেতে পারবেনা অথচ যাত্রাবাড়িতে কয়েকটি হাসপাতাল আছে যেখানে তাদের প্রতিনিয়ত যেতে হয়।
তবে এতটা দূর্ভোগের পরেও এতদিন ধরে ভাঙ্গা রাস্তাটি সংস্কার করার উদ্যোগ নিতে উদাসীন দায়িত্বশীলরা। এলাকাবাসীর বার বার অনুরোধের পরে ২০২৩ অর্থবছরে রাস্তা উন্নয়নের কাজ কিছুটা শুরু হয়েছে তবে তা অতি ধীর গতিতে। কবে সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক একটি রাস্তা দেখা যাবে তা কেউ ঠিক করে বলতে পারছেননা।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত