জহির খানের ৩টি কবিতা        

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২১, ১২:৩৯ |  আপডেট  : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৮

আমি তো কবিতা লিখি স্যার

আমার নাক বরাবর ভদ্রলোক
আবহমান বাংলার নৌকায় চড়েন
বাংলায় কথা বলেন বাংলা গান করেন
উদার এক লাল সবুজের নদী হয়ে উঠেন

ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে আছেন যে ভদ্রলোক
উনিইতো সবুজ সোনালী ধানের চাষ করেন
লাঙলের ফলায় খুব ই মায়ার কায়ায় ফসল

ভালোলাগে- খুবই জরুরী ভালোবাসা বন্ধুগো

ডানপাশের ভদ্রলোক উনি অদৃশ্য এক শক্তি  দাড়িপাল্লা নিয়ে বণিক চেয়ারে বসে থাকেন
ভীনদেশী প্রোডাক্ট কেনাবেচা করেন- ঠকান 

বামপাশের ভদ্রলোক ও দেশেই থাকেন
দেশের কথা হয় ভালোবাসেন লাল দল
রাজপথের মহান শ্রমজীবী মানুষের কথা
ভদ্রবাড়ীর কেউ কেউ রাতের অন্ধকারে
হয়ে উঠেন চায়না প্রোডাক্ট দালাল চক্ষু

ঘেন্নাপিত্তি- প্রতিবাদ মহামান্য আদালত থু

অতঃপর
কারাে গহীন বনে সুন্দরের ভাগ বসাতে চাইনি
আমি কবিতা লিখি  লিখতে হয় তাই-
বই চুরি করেছি বউ চুরি করিনি করবো ও না
কবিতাই লিখতে আসছি ছলা গল্প করতে নয়

দুধভাত কবিতা

কোথাও উঁচু কোথাও নিচু
স্বরে বা সুরে শালিকের ওড়াউড়ি
উড়ে অন্যরাও- প্রবল আস্থা

দূরের আকাশ দূরে রয়
দুধভাত মন্ত্র পড়ে ঋষি পাখি 
গোল হয় মানুষের চিন্তা

ঘোরে অঘোর সম্পর্কে ভাটা পড়ে
ফিরে আসে রূপালী সন্ধ্যা প্রিয়তু

এখন শালিকেরা ফিরে তীরে উঠে
অন্ধকারে শালিক মানুষ বন্ধু হয়
ভেদাভেদ হয় ঝগড়া হয়- মানুষ

কিছুই ভালো লাগেনা

চারপাশে শুধু দেখি কুবেরের ধন রক্ষক
মান রক্ষক দেখিনা নেই কোথাও নেই

কিছুই ভালো লাগেনা
কি বলার আছে- পথিক
দূরের গ্রাম পথ ধরে হাঁটি
মুচকি হাসি হাওয়া খাই

ভাবছি একটা গ্রাম কিনবো
মান রক্ষক নিয়োগ দিবো

এখন
ধন ধোনে যাক কিচ্ছু যায় আসেনা

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত