চীনের সিচুয়ান প্রদেশের দম্পতিরা ইচ্ছা অনুযায়ী সন্তান নিতে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬:২৫ |  আপডেট  : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:৫৮

জনসংখ্যা হ্রাসে লাগাম টানার চেষ্টা করা চীনের সিচুয়ান প্রদেশের দম্পতিরা এখন থেকে তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী সন্তান নিতে পারবেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

গতবছর চীনের জনসংখ্যা ছয় দশকের মধ্যে প্রথমবার আগের বছরের তুলনায় কমে গিয়েছিল।

অনেকগুলো বছর এক সন্তান নীতিতে কঠোর অবস্থানে থাকা চীন জন্মহার বাড়াতে ২০২১ সালে দম্পতিদের তিন সন্তান পর্যন্ত নেওয়ার অনুমতি দেয়।

তার চেয়েও কয়েক ধাপ এগিয়ে সিচুয়ান এখন ‘যত খুশি’ সন্তান নেওয়ার অনুমতি দিল; পরিবর্তিত নীতির ফলে প্রদেশটির অবিবাহিতরাও এখন থেকে সন্তান লালন-পালনের অনুমতি পাবেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন এ নীতি কার্যকর হচ্ছে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

চীনের দক্ষিণপশ্চিমের এই প্রদেশে আগে স্বামীহীন নারীরা সন্তান জন্ম দেওয়ার অনুমতি পেতেন না।

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে চীন ১৯৭৯ সালে এক সন্তান নীতি চালু করেছিল; এই নীতি ভঙ্গকারীদের জরিমানা, কখনো কখনো চাকরিচ্যুতও করা হতো।

চীনে ঐতিহাসিকভাবে মেয়ের তুলনায় ছেলে সন্তান বেশি প্রাধান্য পাওয়ায় এক সন্তান নীতির কারণে অনেকেই বাধ্য হয়ে গর্ভপাতের আশ্রয় নিতেন।

জন্মহার হ্রাস ঠেকাতে ২০১৬ সালে চীন এই নীতি বদলে ফেলে; তবে তা সত্ত্বেও পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে পারেনি তারা। গত বছর প্রথমবার দেশটিতে জন্মের চেয়ে মৃত্যু বেশি দেখা যায়।

পরিস্থিতি বদলাতে সিচুয়ান যে নতুন নিয়ম করল, তাতে ৮ কোটি বাসিন্দার প্রদেশটিতে সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনো ধরনেরই বাধ্যবাধকতা থাকল না।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দেশে জন্মহার বাড়ানোকে তার অগ্রাধিকার তালিকায় রেখেছেন। জন্মহার হ্রাস ঠেকাতে বা এর গতি শ্লথ করে দিতে ভালো মাতৃ স্বা্স্থ্যসেবা ও কর ছাড়েরও ব্যবস্থা রেখেছে দেশটির সরকার।

এমন এক সময়ে সিচুয়ান ‘যত খুশি’ সন্তান নেওয়ার এ অনুমতি দিল যথন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি কোভিডজনিত মৃত্যু ঠেকাতেও জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ডিসেম্বর চীন তাদের কঠোর ‘শূন্য কোভিড’ বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস দেশটির শহর ও গ্রামগুলোকে খুবলে খাচ্ছে।  

চীনের মতো পার্শ্ববর্তী দেশ জাপানও তাদের জন্মহার হ্রাস নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, জন্মহার পরিস্থিতির ফলে তার দেশ ‘সমাজ হিসেবে কাজ করতে না পারার’ দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত