ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে বৃষ্টি ঝরছে ঢাকায়, থাকবে সারাদিন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২২, ০৮:০০ |  আপডেট  : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:০৫

সাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে রাজধানীতে গতকাল রাতের অনেকটা সময় বৃষ্টি হয়েছে, যা আজও অব্যাহত আছে। বৃষ্টির এই ধারা সোমবার (২৪ অক্টোবর) সারাদিন থাকতে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

গতকালের মতো আজকেও ঢাকার আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে আছে। কখনো হালকা আবার কখন মাঝারি বৃষ্টি ঝরছে রাজধানীজুড়ে।

বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় কর্মদিবসে দুর্ভোগে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ। অফিসসূচির পরিবর্তন হওয়ায় এখন সাতটার দিকেও অফিসের পথ ধরার কারণে সাতসকালে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় মানুষকে।

রাত থেকে বৃষ্টি ঝরায় বেশিরভাগ মানুষই ছাতা মাথায় বেরিয়েছেন। আবার অনেকে রেইনকোট গায়ে জড়িয়ে রাজধানীর পথে বেরিয়েছেন। তবে সড়কের কাদা পানিতে শরীরের নিচের অংশে কাঁদা জমে গেছে।

আবহাওয়া অধিদফতর থেকে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঢাকায় এমন বৃষ্টি হচ্ছে। ঢাকা ছাড়াও দেশের অনেক স্থানে এমন বৃষ্টির খবর এসেছে।রাজধানীতে সারাদিন মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে রূপ নেওয়ায় উপকূলীয় এলাকায় ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টি দেশের অন্যান্য সমুদ্রবন্দরের তুলনায় পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকেই সবচেয়ে কাছে অর্থাৎ ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।

ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশ, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং এসবের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। এ জন্য উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, সোমবার ভোর ৫টা থেকে ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পূর্ব/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, দেশের অন্যত্র পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি এবং বজ্র বৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত