ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় প্রস্তুত চট্টগ্রাম

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ মে ২০২৩, ১৪:৩৬ |  আপডেট  : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:২৭

ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় প্রস্তুতি সভা

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র আঘাত ও জানমাল রক্ষায় চট্টগ্রামের উপকূলীয় চার উপজেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩৮৮টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং প্রায় ৭ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। এ ছাড়া চার উপজেলাসহ ১৫টি উপজেলায় নগদ অর্থ এবং ত্রাণ সহায়তা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। 

তিনি বলেন, ‘দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রাথমিক চাহিদা মিটানোর জন্য ১৫টি উপজেলায় ত্রাণ হিসেবে চাল ও নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্যে প্রস্তুত রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), জেলা মাধ্যমিক এবং প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

বাঁশখালী উপজেলায় ১০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও সাইদুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘উপজেলার উপকূলীয় এলাকা ছনুয়া, খানখানাবাদ, গন্ডামারা, সরল, বাহারছড়া, কাথরিয়া, সাধনপুর, পুকুরিয়া, পুইছড়ি, শেখেরখীল ও শীলকুপ এলাকায় সাইক্লোন শেল্টার এবং মুজিব কিল্লাসহ ১১০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সাগরে যে সব জেলেরা রয়েছেন তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৭১টি ইউনিটে এক হাজার ৪২০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘উপকূলীয় ও পাহাড়ি এলাকায় মাইকিং করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক মসজিদে কাল জুমার নামাজের বয়ানে ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে বলার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সব ইমামকে বলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

আনোয়ারা উপজেলার ইউএনও মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূলীয় ইউনিয়নগুলোতে এক হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খোলা থাকবে ৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্র। জেলা প্রশাসন থেকে ৪০ হাজার টাকা ও ১০ মেট্রিক টন খাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সচেতনতার জন্য মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছে।’ 

সীতাকুণ্ড উপজেলার ইউএনও মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত করা হয়েছে ৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্র। পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি–বেসরকারি ভবনগুলোও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য ১২টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এক হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক।’ 

সন্দ্বীপ উপজেলার ইউএনও সম্রাট খীসা বলেন, ‘উপজেলায় ১১২টি সাইক্লোন শেল্টারসহ মাধ্যমিক স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজসহ মোট ১৬২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া উড়িরচরে তিনটি মুজিব কিল্লা ও মুছাপুর ইউনিয়নে একটি মুজিব কিল্লা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে তিন হাজার ভলান্টিয়ার। সঙ্গে প্রস্তুত রয়েছে যুব রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা রয়েছে।’

অপরদিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ৯০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত