গাজীপুর সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ
প্রকাশ: ৯ মে ২০২৩, ১৪:৫১ | আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:৩৪
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ মে) সকাল ১০টায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নগরীর বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সব পদের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়। প্রথমেই মেয়র পদে আট জন বৈধ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্ধ করেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম।
মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে রাজনৈতিক দল সমর্থিত মোট পাঁচ জন প্রার্থীকে তাদের নিজ নিজ দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র (বরখাস্ত) জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন টেবিল ঘড়ি, কারাবন্দি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকারের ছেলে সরকার শাহ নূর ইসলাম রনি হাতি এবং হারুন অর রশীদ ঘোড়া প্রতীক পেয়েছেন।
প্রতীক বরাদ্ধ কার্যক্রম শুরুর আগে সব প্রার্থীদের প্রতি নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।
আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠিত হবে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান [নৌকা], জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন [লাঙ্গল], গণফ্রন্ট সমর্থিত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম [মাছ], ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান [হাত পাখা], জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী রাজু আহম্মেদ [গোলাপ ফুল]।
এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৩৯ জন এবং সংরক্ষিত আসনে ৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের (বরখাস্ত) মা জায়েদা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই শহর রক্ষার স্বার্থে, মানুষের কল্যাণের জন্য ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। জণগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমি নগরীর অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে চাই। ইতোমধ্যে আমার ছেলে নগরীতে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছে, রাস্তাঘাট উন্নয়ন-সংস্কার করেছে। আরও কাজ অসমাপ্ত আছে, সেগুলো সমাপ্ত করার পাশাপাশি নগরীর উন্নয়নে কাজ করতে চাই।’
এ সময় জায়েদা খাতুনের পাশেই ছিলেন তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।
জায়েদা খাতুন আরও বলেন, ‘আমি নগরবাসীর কাছে দোয়া ও তাদের ভোট চাই। আপনারা আমার পাশে থাকেন, আমি ছেলের সঙ্গে থেকে সব কাজ দেখছি, বুঝছি। আমি নগরীর রাস্তাঘাট উন্নয়নসহ অসমাপ্ত যেসব কাজ রয়েছে, তা সমাপ্ত করতে চাই।’
এ সময় জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি একটি আদর্শিক লড়াই। কারণ মিথ্যা দিয়ে একজন ভালো মানুষকে, একটা নগরীকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। আমি চাই সেই মিথ্যা উন্মোচন হোক। সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতেই এই লড়াই।’
তিনি বলেন, ‘গার্মেন্টস বাঁচাতে, পোশাক শ্রমিকদের চাকরি রক্ষার্থে মানবিক কারণে আমি নিজের জমি দিয়ে একটা প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করেছি। যার কারণে আজ আমাকে ঋণখেলাপি বলা হচ্ছে। এই অভিযোগে আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। একই অভিযোগে সিআইবির নেগেটিভ রিপোর্ট থাকার পরেও অন্তত ৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের মনোনয়নের বৈধতা পেয়ছেন। অথচ আমি হাইকোর্টে গিয়েও সুবিচার পেলাম না। সবার প্রতি আহ্বান যেন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়।’
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত