গাইবান্ধায় যে বার্তা দিয়েছিল সেটা জেলা পরিষদ নির্বাচনে নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে: সিইসি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২২, ১৫:২০ |  আপডেট  : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:৫৪

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন যে বার্তা দিয়েছিল সেটা জেলা পরিষদ নির্বাচনে নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।  

সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে ৫৭ জেলা পরিষদে ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি এই কথা বলেন। জেলা পরিষদ ভোটে নিজেদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি। সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে৷ কোনো সহিংসতা বা গোলোযোগ হয়নি। আমরা সন্তুষ্ট। অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ভোট হয়েছে।'

কয়েকটি জেলা পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সিসি ক্যামেরার ভোটের পরিবেশে প্রভাব ফেলেছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'গাইবান্ধায় সিসি ক্যামেরায় আমাদের পর্যবেক্ষণ ছিল। তবু অনিয়ম হয়েছে৷ সেখান থেকে হয়ত একটা ম্যাসেজ এসেছে। যদি কেউ গুরুতর অনিয়ম করে তাহলে ভোট বন্ধ।'

দ্বিতীয় জেলা পরিষদ নির্বাচন সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেছেন, শুরু থেকেই আমরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি। অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও থেকে সহিংসতা-গোলযোগ-গণ্ডগোলের তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। কেন্দ্রগুলো থেকে যে তথ্য পেয়েছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট।

সিসিটিভির মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকে নতুন অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, আগামীতে এ অভিজ্ঞতা আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ করে দেবে। আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোটাররা এখন সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন।

নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, গাইবান্ধা নির্বাচন সিসিটিভির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করে গুরুতর অনিয়ম লক্ষ্য করেছি। কমিশন বাধ্য হয়ে নির্বাচনটা বন্ধ করে দিয়েছে। সেখান থেকে একটা মেসেজ এসেছে। যেহেতু নির্বাচন সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়, তাই অনিয়ম হলে সেটি বন্ধ করে দেওয়া যাবে। আমাদের মনে হয় এর একটি পজিটিভ ইমপ্যাক্ট এই নির্বাচনে পড়েছে।

দেশের ৫৭টি জেলা পরিষদে সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয়েছে দুপুর ২টায়। এক হাজার ৪০০টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন ভবন থেকে পুরো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ইভিএমে এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হচ্ছে। কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ মনিটরিংয়ের জন্য স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ পরিবেশে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের এসব প্রস্তুতি গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫৭টি জেলার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৯২ জন, সদস্য পদে এক হাজার ৪৮৫ জন  ও সংরক্ষিত পদে ৬০৩ জন রয়েছেন। ৫৭টি জেলায় সাধারণ ওয়ার্ড সংখ্যা ৪৪৮টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৬৬টি। ভোটকেন্দ্র ৪৬২টি ও ভোটকক্ষ ৯২৫টি। মোট ভোটার ৬০ হাজার ৮৬৬ জন।

এছাড়া, নির্বাচনে ২৬ জন চেয়ারম্যান, ১৮ জন মহিলা সদস্য এবং ৬৫ জন সাধারণ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন আদালতের নির্দেশনায় স্থগিত করা হয়েছে। ভোলা ও ফেনী জেলার সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে এ দুই জেলায় কোনো নির্বাচনের প্রয়োজন হচ্ছে না।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত