ক্ষতিগ্রস্ত ১২ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর প্রতি আমাদের গভীর সহানুভূতি রয়েছে : ইউনিসেফ
প্রকাশ: ৬ মার্চ ২০২৩, ১৭:৪৫ | আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৫
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনের ঘটনায় গভীর সহানুভূতি জানিয়েছে ইউনিসেফ। সোমবার (৬ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে একথা জানান বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট।
তিনি বলেন, ‘আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ১২ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর প্রতি আমাদের গভীর সহানুভূতি রয়েছে। তাদের মধ্যে অর্ধেক শিশু; যারা গতকাল কক্সবাজার শরণার্থী শিবিরে আগুনে তাদের আশ্রয়কেন্দ্র হারিয়েছে। তবে যারা এই আগুন নিয়ন্ত্রণে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, আমরা তাদের সাহসী কাজের প্রশংসা করি।’
তিনি বলেন, ‘যদিও আমরা কৃতজ্ঞ যে, কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এই মুহূর্তে ৬ হাজার শিশুর জরুরি সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। ইউনিসেফ এবং আমাদের অংশীদাররা এই মর্মান্তিক ঘটনায় শিশু এবং তাদের পরিবারকে সুরক্ষা ও সহায়তা করার জন্য রাতভর কাজ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থলে দুটি মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে এবং আহত শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জরুরি চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করছে। একই সময়ে, যারা বিশৃঙ্খলার মধ্যে তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে পারে তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়ে শিশুরা মনোসামাজিক সহায়তা পাচ্ছে।’
ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ পরিমাণ নির্ণয় করা হচ্ছে, তবে প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী আগুনে ২ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র এবং বিপুল সংখ্যক সুযোগ-সুবিধা ধ্বংস হয়েছে যা উদ্বাস্তু শিশু এবং তাদের পরিবারকে গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা প্রদান করে। এর মধ্যে ২০টিরও বেশি শিক্ষাকেন্দ্র রয়েছে, অন্তত একটি পুষ্টি কেন্দ্র এবং বেশ কিছু স্যানিটেশন সুবিধা আছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইউনিসেফের পরবর্তী অগ্রাধিকার হলো, এই সুবিধাগুলো মেরামত এবং পুনর্নির্মাণ করা যাতে শিশুরা তাদের শিক্ষা চালিয়ে যেতে পারে এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি এবং স্যানিটেশন পরিষেবাগুলি পেতে পারে।
ইয়েট বলেন, ‘সেই রোহিঙ্গা শিশু এবং তাদের পরিবারের প্রতি আমাদের সহানুভূতি; যারা তাদের দেশ থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়ার পরে আরও একবার গৃহহীন হলো।’
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত