কালকিনিতে জনপ্রিয় হচ্ছে ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষ

প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২২, ১৭:৫৩ | আপডেট : ২৫ জুন ২০২৫, ১০:৫৯

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে জলাবদ্ধ এলাকায় ভাসমান পদ্ধতিতে শীতকালিন সবজি চাষ। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এতে করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন কৃষকরা। কচুরিপানা দিয়ে তৈরী বেডের ওপর বাঁশের মাচায় ঝুলে আছে লাউ, শসা। পানির ওপর কচুরিপানার বেডে বাতাসে দোল খাচ্ছে লাল শাক, ডাটা, ঢেড়সসহ বিভন্ন সবিজ। এই পদ্ধতিতে সবজি চাষে কোন প্রকার রাসায়নিক সার ও কীটনাশক দিতে হয় না। বিষমুক্ত এসব সবজি বাজারে চাহিদা বেশি হওয়ায় ভালো বেশি দামে বিক্রি করছে তারা। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এ পদ্ধতিতে সবজি আবাদে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষক। স্বল্প ব্যয়ে অধিক মুনাফা অর্জনের কারণে এলাকার অনেকেই তরুণ বেকার যুবকরা এই সবজি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
উপজেলার দক্ষিন রমজানপুরের চর পালরদী গ্রামের মোঃ জুলহাস মোল্লা জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগিতায় বাড়ীর পাশে প্রায় ৪০শতাংশ জলাবদ্ধ জমিতে কচুরিপানা দিয়ে ভাসমান বেড তৈরী করে শীতের আগাম সবজি লাউ চাষ করে এ পর্যন্ত এক হাজার লাউ বিক্রি করেছি। এ পদ্ধতিতে কোন প্রকার রাসায়নিক সার ও কীটনাশক দিতে হয়নি। কম খরচে বেশি উৎপাদন করা বিষমুক্ত এসব সবজি বাজারে বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে বলে জানান তিনি।

একই এলাকার জলিল বেপারি জানান, একই পদ্ধতিতে ৩০শতাংশ জমিতে শষা, লাল শাক ও ঢেড়স চাষ করছি। জলাবদ্ধ জলাশয়ে কোনো প্রকার রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়া বিষমুক্ত এসব সবজি চাহিদা বেশি থাকায় ক্ষেত থেকেই কিনে যায় ক্রেতারা বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্ত মিল্টন বিশ^াস জানান, আমরা কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতায় দিয়ে থাকি। উপজেলার দক্ষিন রমজানপুরের চর পালরদী গ্রামে জলাবদ্ধ এলাকায় বেড বা ধাপে সবজির চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন একই গ্রামের ৩৫ থেকে ৪০ জন কৃষক। কচুরিপানা দিয়ে ভাসমান বেড তৈরী করে বর্ষা মৌসুমে বছরের প্রায় ৬মাস এ পদ্ধতিতে আবাদ করে কৃষক। আর পানি শুকিয়ে গেলে কচুরিপানার বেড ব্যবহার করা যায় জৈব সার হিসেবে। এলাকার অনেকেই তরুণ বেকার যুবকরা এই সবজি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এই প্রকল্পে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ থাকায় এই চাষের সম্প্রসারণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত