রাস্তা চলাচলে ভোগান্তি চরমে
কাউনিয়ায় সর্বচ্চ রাজস্ব আয়ের টেপামধুপুর হাটে অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:১২ | আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৮

কাউনিয়া উপজেলার সর্বচ্চ রাজস্ব আয়ের টেপামধুপুর হাটের প্রধান রাস্তায় অল্প বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এতে যান চলাচলে বিঘœ ঘটে। পথচারীদের ভোগান্তি পৌঁছায় চরমে।
সরেজমিনে গত মঙ্গলবার সন্ধায় হাটে গিয়ে দেখা গেছে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় পানি জমে গেছে। হাটের প্রধান রাস্তায় জলাবদ্ধতার ফলে চলাচলে বেগ পেতে হচ্ছে ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিক্সা চালকদের। ভোগান্তিতে পড়েছে হাটের ক্রেতা সাধারণ। হাটের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি আর কাদা জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। পানি নিষ্কাশনের জন্য দেয়া ড্রেনগুলো আবর্জনায় ভরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এঅবস্থার যানবাহন তো দূরের কথা, সাধারণ মানুষই প্রবেশ করতে চান না হাটে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হলে বাজারের ক্রেতা, ব্যবসায়ী ও পথচারীরা এ ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবেন। হাটের মুদী ব্যবসায়ী মশিয়ার বলেন, বর্ষার শুরুতে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ভারি বর্ষায় এই রাস্তায় চলাচলে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হবে। হাটের প্রধান সড়কের ২০০ মিটার জায়গায় এই সমস্যা সবচেয়ে বেশী। হোটেল ব্যবসায়ী আঃ খালেক জানান, দীর্ঘদিন ধরে ড্রেগুলো পরিষ্কার না করা এবং আবর্জনা জমে বন্ধ থাকার কারণে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন না হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ক্রেতা হানিফ উদ্দিন জানান, হাটে সামান্য বৃষ্টিতেও জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ অপরিকল্পিত ড্রেন নির্মান। এছারাও ক্রেতা বিক্রেতার অসচেতনতায় পলিথিনসহ নানা অবর্জনা ড্রেনে ফেলে পানি প্রবাহ বন্ধ করে ফেলা। এই জলাবদ্ধতার ফলে স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্য, পথচারী ও স্থানীয় জনগণের চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়, যান চলাচলেও বিঘœ ঘটায়। সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা আঃ করিম বলেন, অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি নতুন কিছু নয়। অপরিকল্পিত প্রেনেজ ব্যবস্থায় প্রতি বর্ষা মৌসুমে হাটে ক্রেতা বিক্রেতাকে এমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ইজারাদার জানান জলাবদ্ধতার কারণে হাটবাজারের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতায় নোংরা আবর্জনা মিশে রোগজীবাণুর সৃষ্টি হচ্ছে, ফলে পানিবাহিত রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি তৈরি করে। দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যা চলছে। প্রশাসন থেকে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। টেপমধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রশেদুল ইসলাম বলেন, বাজারের ড্রেনগুলো কয়েকবার পরিষ্কার করা হলেও ব্যবসায়ীরা ড্রেনে আবর্জনা ফেলার কারণেই এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। বিষয়টি সমাধানে নির্বাহী অফিসার কে জানিয়েছি। চেষ্টা করছি ড্রেনটি বর্ধিত করে মানাস নদী পর্যন্ত নেয়া যায় কিনা।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত