আদমদীঘিতে পাঁচ শিক্ষার্থীকে নিয়ে পুকুরে ধসে পড়ল ক্লাসরুমের মেঝে

  আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৪৬ |  আপডেট  : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৮

বগুড়ার আদমদীঘিতে ক্লাস শুরুর আগেই পাঁচ শিক্ষার্থীকে নিয়ে পুকুরের পানিতে ধসে পড়ল ক্লাসরুমের মেঝে। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির বাগবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর কক্ষে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর ওই কক্ষ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস। তবে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অসতর্কতা আর অবহেলায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

স্থানিয় বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম ও সজল হোসেন বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারির ১৫ তারিখে প্রধান শিক্ষক হিসেবে এই বিদ্যালয়ে যোগ দেন শ্যামনাথ। তিনি বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে খুবই উদাসীন। তিনি স্কুলের শিক্ষক বা স্থানিয়দের সাথে কোনো পরামর্শ না করেই একক সীদ্ধান্তে চলেন। বরাদ্দের টাকা স্কুলের কি কাজে ব্যবহার করেন সেটিও কাউকে বলার প্রয়োজন মনে করেন না। তার উদাসীনতার কারনে পড়াশোনার পাশাপাশি অবকাঠামোর অবস্থাও বেহাল। আর এ কারনেই সকালে ক্লাস শুরুর আগেই শিশু শ্রেণীর শিক্ষার্থী হুমায়রা, জীসান ও অলসসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে নিয়ে পুকুরের পানিতে ধসে পড়ে ক্লাসরুমের মেঝে। এই দূর্ঘটনায় শিশু শিক্ষার্থীদের প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটে যেতে পারতো। তাদের দাবী বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সচেতন হলে এমন ঘটনা ঘটতো না।  

জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামনাথ বলেন, অনেক দিন আগে পুকুরের ওপর এই বিদ্যালয়ের কক্ষ নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতি উত্তর দিকে গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হলেও তিনি যোগদানের পর থেকে কোনো বরাদ্দ না পাওয়ায় মেঝে সংস্কারের কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে দু‘দফায় স্কুলের বরাদ্দ পেয়েছিলেন ৪০ হাজার ৫০০ টাকার মতো। সেটি নিয়ে কারো সাথে আলোচনা না করেই ব্যয় করার জন্য স্থানিয়দের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন বলেন, খবর পেয়েই বিদ্যালয়ে ছুঁটে এসে ওই ক্লাসরুম বন্ধের জন্য নির্দেশ দিয়েছি। এরপর স্থানিয়দের সাথে কথা বলি। তাদের অভিযোগগুলো নোট করি। বিষয়গুলো উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। এরপর তাঁরাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত