কাউনিয়ায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি চরাঞ্চল প্লাবিত, চরাঞ্চলে পানিবন্দি মানুষ
প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২১, ১৯:৩৫ | আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪২
ভারতের গজল ডোবায় পানি ছেরে দেয়ায় ও উজানের পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী তীরবর্তী নিন্মাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিব হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে শুক্রবার রাত থেকে কাউনিয়ায় তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে শনিবার সকালে পানি প্রবল বেগে বৃদ্ধি পেয়ে তিস্তা রেল সেতু পয়েন্টে বিপদ সীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হয়। তিস্তা পয়েন্টে ৯৫.১৫ সেঃমিঃ বিপদ সীমা নির্ধারণ করা আছে। সেখানে তিস্তা রেল সেতু পয়েন্টে শনিবার দুপুরে ৯৫ সেন্টিমিটাররের কাছাকাছি দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে দেখা গেছে।
এতে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের চর ঢুষমারা,পাঞ্জরভাঙ্গা, প‚র্ব নিজপাড়া, তালুক সাহবাজ, মধুপুর ইউনিয়নের চর গনাই, চর আজম খাঁ, হয়বত খাঁ, উত্তর বিশ্বনাথ এলাকার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের প্রায় ৫শ' পরিবার। এর মধ্যে ঢুষমারার চরে পানি বন্ধি প্রায় ২শ পরিবার। এ গ্রামের মানুষ উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। গবাদিপশু নিয়ে পড়েছে বিপাকে। তিস্তার পানি বুদ্ধির সাথে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বাদাম, ভুট্টা, পাট ক্ষেত, আমন বীজতলা তলিয়ে গেছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে এই প্রথম নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
ঢুষমারা চরের বাসিন্দা কোব্বাত আলী বলেন সবাই তাদের নিয়ে ভোটের রাজনীতি করেন কিন্তু তাদের দুঃখ দুর্দশার কথা কেউ ভাবেন না। পানিতে ডুবলে সামান্য ত্রাণ নিয়ে আসেন নেতারা এর পর আর তাদের দেখা মেলেনা। নদী ভাঙ্গন রোধে নেই কোন কার্যকরী পদক্ষেপ। বালাপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আনছার আলী বলেন প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের তালিকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে প্রেরণ করা হবে। টেপামধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফি জানান, তার ইউনিয়নে বেশ কিছু চরে পানি প্রবেশ করেছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহসান হাবীব সরকার জানান, বন্যা মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি আছে। চেয়ারম্যান সাহেবদের বলা হয়েছে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরী করতে। নির্বাহী অফিসার তাহমিনা তারিন জানান,বন্যা বিষয়ে উপজেলা পরিষদের প্রস্তুতি আছে। আমরা নিবির ভাবে বন্যা পর্যবেক্ষন ও তদারকি করছি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত