গতি, ক্ষমতা এবং শক্তি সঞ্চয় বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির প্রথম
এলপিডিডিআরফাইভএক্স ডির্যাম প্রযুক্তি নিয়ে এলো স্যামসাং
প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২১, ১৮:৫২ | আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:৩৩
প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের বিকাশের ক্ষেত্রে স্যামসাং সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক সব অধ্যায়ের অংশ হিসেবে জড়িত ছিল, আর এবারে প্রতিষ্ঠানটি ১৪-ন্যানোমিটার [এনএম] ভিত্তিক ১৬-গিগাবিট [জিবি]লো পাওয়ার ডাবল ডেটা রেট ফাইভএক্স [এলপিডিডিআরফাইভএক্স] ডির্যাম বিকাশের মাধ্যমে আরও একবার “ইন্ডাস্ট্রির প্রথম” তকমা জিতে নেওয়ার পথে এক দুর্দান্ত পদক্ষেপ নিয়েছে। স্যামসাংয়ের এলপিডিডিআরফাইভএক্স ডির্যাম মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা [এআই], ফাইভজি প্রযুক্তি এবং মেটাভার্সের মতো উচ্চগতির ডেটা সেবা অ্যাপ্লিকেশনগুলির মাধ্যমে প্রযুক্তিগত প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ডিজাইন করা হয়েছে।
স্যামসাংয়ের এলপিডিডিআরফাইভএক্স পরবর্তী প্রজন্মের মোবাইল ডির্যাম, যা ভবিষ্যতের ফাইভজি অ্যাপ্লিকেশনগুলির গতি, ক্ষমতা এবং শক্তি সঞ্চয়কে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি সেকেন্ডে ৮.৫ গিগাবিট [জিবিপিএস] পর্যন্ত ডেটা প্রসেসিং গতি প্রদানে সক্ষম, যা এলপিডিডিআরফাইভ’এর ৬.৪ জিবিপিএস’এর চেয়ে ১.৩ গুণ বেশি দ্রুত। এ খাতের সবচাইতে আধুনিক ১৪ ন্যানোমিটার (এনএম) ডির্যাম প্রক্রিয়া প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এটি এলপিডিডিআরফাইভ মেমোরির তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ কম শক্তি ব্যবহার করবে।
তাছাড়াও, এর ১৬-গিগাবিট এলপিডিডিআরফাইভএক্স চিপ প্রতি মেমোরি প্যাকেজে ৬৪ গিগাবাইট (জিবি) পর্যন্ত সক্ষমতা প্রদান করবে, যা বিশ্বব্যাপী উচ্চ-ক্ষমতার মোবাইল ডির্যামের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে। সংক্ষেপে, এলপিডিডিআরফাইভএক্স স্মার্টফোনের হাই-পারফরমেন্স এবং লো-পাওয়ার মেমোরির ব্যবহারকে আরো বর্ধিত করে এআই এবং এজ অ্যাপ্লিকেশন পর্যন্ত বিস্তৃত করবে।
সেই সাথে ডিজিটাল রিয়েলিটি ওয়ার্ল্ডের সম্প্রসারণের জন্য যথোপযুক্ত কাঠামো তৈরি করতে স্যামসাং খুব শীঘ্রই বিশ্বব্যাপী চিপসেট প্রস্তুতকারকদের সাথে কাজ শুরু করবে। প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ডির্যাম লাইনআপকে প্রসারিত করার মাধ্যমে পারফরমেন্স ও পাওয়ার এফিশিয়েন্সি’র প্রশ্নেও উন্নতি সাধন করার ব্যাপারে আগ্রহী।
যেকোনো কম্পিউটিং ডিভাইসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হার্ডওয়্যার উপাদানগুলোর মধ্যে একটি হল র্যাম। প্রায়শই যেকোনো ডিভাইসের নির্মাণকাঠামো, গতি, ল্যাটেন্সি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের তুলনায় র্যাম তুলনামূলকভাবে বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করে। প্রতিটি নতুন জেনেরেশনের সাথে সাথে মোবাইল ডির্যাম আরো দ্রুত এবং দক্ষ হওয়ার প্রবণতা রাখে, যা নির্মাতাদের আরও শক্তিশালী এবং পরিবেশ-বান্ধব ডিভাইস ডিজাইন করতে সহায়তা করে। সর্বশেষ জেনারেশনের মোবাইল ডির্যামের মাধ্যমে স্যামসাং স্মার্টফোনের বাইরেও সার্ভার এবং অটোমোবাইলের মতো এআই-ভিত্তিক প্রান্ত অ্যাপ্লিকেশনগুলোর জন্যও হাই-পারফরমেন্স এবং লো-পাওয়ার মেমোরি নিশ্চিত করছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত