একে খন্দকার বীরউত্তম ইন্তেকাল করেছেন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪:০২ |  আপডেট  : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫:৪৩

মহান মুক্তিযুদ্ধের উপ-সেনাপতি, সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান, সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল একে খন্দকার বীরউত্তম ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর-আইএসপিআর এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। তাঁর জানাজা ও দাফনের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। 

একে খন্দকার মুক্তিযুদ্ধে ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। যুদ্ধ পরবর্তী বিমান বাহিনী পুনর্গঠন করেন এবং 'বীরউত্তম' খেতাব লাভ করেন। তার নামে ঢাকার কুর্মিটোলা বিমান ঘাঁটির নামকরণ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য ২০১১ সালে এ কে খন্দকারকে স্বাধীনতা পদক দেয় সরকার।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রথম প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার জিয়াউর রহমানের আমলে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। পরে এইচ এম এরশাদের সামরিক শাসনামলে পরিকল্পনামন্ত্রী হন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে পাবনা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৪ সালে তার বই ‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ প্রকাশিত হয়। ওই গ্রন্থে তিনি লেখেন, শেখ মুজিব ৭ই মার্চ থেকে শুরু করে গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত স্বাধীনতার কোনো ঘোষণা দিয়ে যাননি, কোনো লিখিত চিরকুট বা রেকর্ডকৃত কণ্ঠবার্তাও রেখে যাননি এবং পূর্বনির্ধারিত কোনো দিকনির্দেশনাও দিয়ে যাননি।

বইটি প্রকাশের পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এর কড়া সমালোচনা করা হয়। তার বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ আনেন আওয়ামী লীগ নেতারা। সংসদেও এর তুমুল সমালোচনা করা হয়। প্রথম দিকে বিএনপি তার সমর্থন করলেও জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার প্রথম ঘোষক না বলায় তাদের অনেক নেতাকর্মীও তার সমালোচনা করেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আপত্তি ও প্রতিবাদের এক পর্যায়ে লেখক বইটির ওই অংশ ও সংশ্লিষ্ট আরও কিছু অংশ প্রত্যাহার করেন। ২০১৯ সালের ১১ আগস্ট এর জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ মুজিবের ব্যাপারে ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ঘোষণা করেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত