এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ডিএমপির ১৯ নির্দেশনা
প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ১৪:৩৮ | আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:০৩
সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ৩০ জুন। এ পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতা করতে এবং রাস্তা যানজটমুক্ত রাখতে কাজ করবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কুইক রেসপন্স টিম।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে এইচএসসি পরীক্ষা-২০২৪ উপলক্ষে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ডিএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো.মুনিবুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ১৯টি নির্দেশনা দেন।
মো.মুনিবুর রহমান বলেন, ‘আগামী ৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। প্রতিটি কেন্দ্রের নেওয়া হবে রোডভিত্তিক ব্যবস্থা। পরীক্ষার্থীরা যেন কেন্দ্রে সময়মতো পৌঁছাতে পারে, সে জন্য রোডে পরীক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষার ৮০টি কেন্দ্র ঢাকা মহানগরে আছে। পরীক্ষার কেন্দ্রমুখী যেসব রোড রয়েছে, সেখানে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকবে। পরীক্ষার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারে, সেই প্রচেষ্টা থাকবে আমাদের। এছাড়া প্রধান সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে দেওয়া হবে না।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেখানে পরীক্ষার কেন্দ্র বেশি, সেখানে কুইক রেসপন্স টিম বেশি থাকবে। বিভিন্ন রোডে থাকবে এই টিম। কোনও পরীক্ষার্থী যদি কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরি করে অথবা রাস্তায় বিপদে পড়ে, সেখানে কুইক রেসপন্স টিম পরীক্ষার্থীদের দ্রুত কেন্দ্রে পৌঁছানোর কাজ করবে।’
ডিএমপির নির্দেশনাগুলো হলো–
১. পরীক্ষার হলে রওনা দেওয়ার আগে অবশ্যই প্রশ্নপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং কলম সঙ্গে নিতে হবে।
২. পরীক্ষা শুরুর আগের দিন কেন্দ্রের অবস্থানটি ভালো করে জেনে এবং বাসা থেকে কোন রুটে যেতে হবে সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা নিতে হবে।
৩. পরীক্ষা শুরুর আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার জন্য পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সড়ক-মহাসড়কের যানজটের বিষয়টি মাথায় রেখে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হতে হবে।
৪. বাসা থেকে এমনভাবে বের হতে হবে যেন ন্যূনতম ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছানো যায়।
৫. যে সব সড়ক পারাপারে রেল ক্রসিং আছে, তা বিবেচনা করে বাসা থেকে সময় নিয়ে রওনা দেওয়া জরুরি।
৬. বাসার বা পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশের সড়কে যদি খোঁড়াখুঁড়ি বা মেরামত কাজ চলে তবে তা বিবেচনায় নিয়ে সময়মতো রওনা দিতে হবে।
৭. পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাবধানতা অবলম্বন করে যানবাহনে চলাচলের অনুরোধ করা হয়েছে।
৮. কোনও অবস্থাতেই গণপরিবহনে ঝুলে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা-যাওয়া করা যাবে না।
৯. যে সব পরীক্ষার্থী মোটরসাইকেলে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাবে, তারা অবশ্যই নিরাপত্তাজনিত কারণে হেলমেট পরতে হবে।
১০. পরীক্ষাকেন্দ্রে আগত পরীক্ষার্থীরা যানজট বা কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার সম্মুখীন হলে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা নিতে হবে।
১১. ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার থেকে বিরত থাকতে হবে, প্রয়োজনে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার এবং পুলিশের সহায়তা নিতে হবে।
১২. রাস্তা পারাপারে জেব্রা ক্রসিং থাকলে তা ব্যবহার করতে হবে।
১৩. পরীক্ষাকেন্দ্রের আশেপাশে অযাচিত পার্কিং না করে অভিভাবক বা পরীক্ষার্থীদের ব্যবহৃত যানবাহন কেন্দ্র থেকে দূরে নিরাপদ স্থানে পার্কিং করতে হবে।
১৪. পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা কেন্দ্রের সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে গেলে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এতে অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরি হয়। এ জন্য পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কেন্দ্রের সম্মুখে প্রধান গেটে ও রাস্তায় না দাঁড়িয়ে ফুটপাতে দাঁড়াতে হবে।
১৫. পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে আড্ডা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
১৬. গত ১ বছরে মেট্রোরেল, এলিভেডেট এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে, যা পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রার্থীদের পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন রাখতে পারে।
১৭. ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের প্রতিটি জোন থেকে আলাদা আলাদা কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হবে এবং আলাদা ট্রাফিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
১৮. বর্তমানে বর্ষাকাল চলছে। অবশ্যই ছাতা, রেইনকোর্ট কিংবা বৃষ্টি থেকে রক্ষার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সঙ্গে নিয়ে বাসা থেকে বের হতে হবে।
১৯. যে কোনও জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯ এ ফোন করতে হবে।
সা/ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত