শ্রমিক সংকটে হতাশ কৃষকরা

ইরি-বোরো ধান কাটার সময় চলে এসেছে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৩, ১৮:৫৮ |  আপডেট  : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৩৬

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ইতেমধ্যে অন্তত ৭০/৮০ ভাগ ইরি-বোরো ধান পেকেছে। কিন্তু শ্রমিক সংকটে পাকা ধান কাটতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়ে কৃষকরা। গত কয়েক দিনের প্রচন্ড তাপদাহ শেষে আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখে আতংকিত হয়ে পড়ে শ’ শ’ কৃষক। এদিন উত্তর জনপদ থেকে আসা আন্তঃনগর ট্রেনে সান্তাহার জংশন স্টেশনে আসতে শুরু করেছে হাজারো ধানকাটা শ্রমিক। কিন্তু যাদের আগে থেকে শ্রমিক ঠিক করা নেই সে সকল কৃষকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। শ্রমিকরা ট্রেন থেকে নামা মাত্র অনেক কৃষক তাদের ধান কেটে নেয়ার জন্য শ্রমিকদের টানা-হেচড়া করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ট্রেন থেকে নেমে আসা শ্রমিক নেতা ডোমারের করিম উদ্দিন (৫৫) বলেন কামলা (শ্রমিক) আসার এ অবস্থা আরো এক/দেড় সপ্তাহ ধরে চলবে। আবার এসব চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকরা ধান কাটা-মাড়াই করে দিয়ে আগাম ফিরেও যাবেন বলে জানান তিনি। এদিকে পার্বতীপুর থেকে রাজশাহীগামী উত্তরা মেইল ট্রেনেও শ্রমিক আসতে শুরু করেছে। কিন্তু এদের প্রায় সকলে আগে থেকে কৃষকের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে থাকা শ্রমিক। প্রতিটি শ্রমিককে তিন বেলা খাবার ছাড়াও দিতে হচ্ছে ৬ থেকে ৭শ’ টাকা। তাতে প্রতি বিঘায় ধান কাটা-মাড়াইয়ের খরচ পড়েছে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। ধান মিলছে ২০/২৪ মন হারে।

জানা গেছে, এবার বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ছয় ইউনিয়ন ও এক পৌরসভা এলাকায় প্রায় সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে সরু আকারের জিরাশাইল, সম্পাকাটারি এবং বিআর-৯০ জাতের ইরি-বোরো ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। এসব জাতের ধানের মধ্যে জিরাশাইল এবং সম্পাকাটারি ধানের প্রায় ৭০/৮০ ভাগ ধান পেকে গেছে। কিন্তু শ্রমিক সংকটে কৃষক ধান কাটা শুরু করতে পারেনি। এদিকে একটানা প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে তাপদাহ চলার পর বর্তমানে আকাশ মেঘলা দেখে আতংকিত হয়ে পড়েছে কৃষকরা। উপজেলারদক্ষিন মালশন গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলীর সাথে এ প্রতিনিধির কথা হলে তিনি বলেন, অনেক খরচ ও কষ্টে চাষাবাদ করা প্রধান ফসল ইরি ধান মানুষ(শ্রমিক) অভাবে কাটতে পারছি না। আকাশের যা অবস্থা তাতে গতবারের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে বলেই আবেগ আপ্লুত হয়ে চোখ মুছতে মুছতে চলে যায়। এ অবস্থা ও কথা শুধু মোহাম্মদ আলীর নয়, সকল কৃষকের। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত