স্বপ্ন পুরনে বড়বাঁধা দারিদ্রতা

ইট ভাঙ্গা ও শ্রমিকের কাজ করেও জিপিএ-৫ পেয়েছে জহুরুল ইসলাম

  সারওয়ার আলম মুকুল, কাউনিয়া (রংপুর) থেকে

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:৫৬ |  আপডেট  : ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১২

এক দিকে করোনা মহামারী অন্য দিকে দারিদ্র্যতা, এক বেলা খাবার জোটে তো আরেক বেলা খাবার জেটে না, তাই সে দারিদ্র্যতা থেকে মুক্তি ও উচ্চ শিক্ষা অর্জনে ইট ভাঙ্গার কাজ, শ্রমিকের কাজ বেছে নিয়েছে। হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করেও এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে মীরবাগ মহেশা দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র জহুরুল ইসলাম। সে পূর্ব চাঁনঘাট গ্রামের তাহের উদ্দিনের পুত্র। বাবা বেঁচে নেই, মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। দিন মজুর বড় ভাইয়ের সাথে ইট ভাঙ্গার কাজ, ধান কাটার কাজ, আলু ক্ষেত পরিচর্যার কাজ করেও কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে সে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। উচ্চ শিক্ষা অর্জনে অনেক টাকার প্রয়োজন।

 তাছাড়া সে বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চায়। কিন্তু চরম দারিদ্র্যতার মাঝে শ্রমিকের কাজ করে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো কী সম্ভব হবে তার। জহুরুলের বিধবা মাতা পেয়ারী বেওয়া বলেন ৬ শতাংশ জমির উপর বাড়ী ভিটা ছাড়া কোন জমি জিরাত নেই তাদের। দিন মজুর বড় ছেলের আয়ে চলে ৪ জনের সংসার। আমার ছেলে জহুরুলের বড় স্বপ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার কিন্তু দারিদ্র্যেতার কারণে আমার ছেলের স্বপ্ন পুরণ হবে কী করে তা তার জানা নেই। দারিদ্র্যতার যন্ত্রণায় আষ্টেপৃষ্টে বাঁধা জীবন থেকে জহুরুলের মুক্তি মিলবে কবে তাও তার জানা নেই। তবুও বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখে সে, কিন্তু সে স্বপ্ন কী আদৌও পুরণ হবে তার। তার মা ছেলের উচ্চ শিক্ষার জন্য বিত্তবান মানুষের কাছে সাহায্যে সহযোগিতা কামনা করেছেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত