আন্দ্রেই ত্রোশেভ ওয়াগনারের নতুন কমান্ডার  

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:১৯ |  আপডেট  : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৮

বহুল আলোচিত রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের মৃত্যুর পর থেকেই গ্রুপটির ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। অবশেষে প্রিগোজিনের মৃত্যুর এক মাসের মাথায় ওয়াগনারের নতুন কমান্ডার নিয়োগ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

ওয়াগনারের নতুন প্রধানের নাম আন্দ্রেই ত্রোশেভ। তার ডাক নাম গ্রে হেয়ার। তিনি প্রায় এক দশক ওয়াগনারের সিনিয়র কমান্ডার হিসেবে কাজ করেছেন। তবে গত জুনে ওয়াগনারের সশস্ত্র বিদ্রোহ এবং মস্কো অভিমুখে পদযাত্রা নিয়ে প্রিগোজিনের সঙ্গে তার মতবিরোধ দেখা দিয়েছিল।

সেদোই নামেও পরিচিত ত্রোশেভ, যার অর্থ ধূসর চুলের ব্যক্তি। তিনি আফগানিস্তান ও চেচনিয়ায় রাশিয়ার যুদ্ধের একজন সম্মানিত অভিজ্ঞ সাবেক সেনা। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে ওয়াগনার কমান্ডার হিসেবে সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীকে সমর্থন করতে তার ভূমিকার জন্য তিনি হিরো অব রাশিয়া পুরস্কারে ভূষিত হন।

বৃহস্পতিবার আন্দ্রেই ত্রোশেভের সঙ্গে বৈঠক করেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। বৈঠকে পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন ও অন্যান্য দেশে রুশ স্বেচ্ছাসেবক ইউনিটের নেতৃত্ব দেবেন ত্রোশেভ।

ত্রোশেভকে সম্বোধন করে ইউক্রেনের প্রসঙ্গে পুতিন বলেছেন, যুদ্ধের বিভিন্ন কাজ করতে পারে এমন স্বেচ্ছাসেবক ইউনিট, সর্বোপরি, অবশ্যই, একটি বিশেষ সামরিক অভিযানের অঞ্চলে।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, আপনি জানেন, সমস্যাগুলো আগে থেকেই সমাধান করা দরকার, যাতে যুদ্ধের কাজটি সর্বোত্তম ও সবচেয়ে সফলভাবে হয়।

তবে পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, এ বৈঠকটি নিয়মিত কাজের অংশ। ত্রোশেভ বর্তমানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট গত মাসে ওয়াগনার ও অন্যান্য বেসরকারি সামরিক ঠিকাদারদের সব কর্মীকে রাশিয়ান রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্যের শপথ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবেই পরিচিত ছিলেন ওয়াগনারপ্রধান প্রিগোজিন। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশটিতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছিল ওয়াগনার সেনারা। এমনকি ইউক্রেনের বাখমুত শহর দখলে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে ওয়াগনার বাহিনী।

তবে রুশ সামরিক নেতাদের প্রতি অসন্তোষ থেকে গত ২৩ জুন বিদ্রোহের ঘোষণা দেন প্রিগোজিন। যদিও বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় সেই বিদ্রোহ থেকে সরে আসেন তিনি। এ বিদ্রোহের পর পুতিনের চক্ষুশূলে পরিণত হন প্রিগোজিন। এ বিদ্রোহের দুই মাস পর গত মাসে মস্কোয় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারান প্রিগোজিন।

এ ঘটনায় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের হাত থাকতে পারে বলেও অভিযোগ তুলেছে পশ্চিমারা। যদিও তারা এ দাবির বিষয়ে কোনো তথ্য-প্রমাণ হাজির করতে পারেননি।

এ ঘটনার পরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, প্রিগোজিনের মৃত্যুতে তিনি বিস্মিত হননি। রাশিয়ায় খুব বেশি ঘটনা ঘটে না, যেখানে পুতিনের হাত নেই। তবে পশ্চিমাদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ক্রেমলিন। সূত্র : বিবিসি

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত