আদমদীঘিতে হরেক পন্য বেচে স্বাবলম্বী জিল্লুর

  আদমদীঘি (বগুড়া )প্রতিনিধিঃ

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২১, ১৭:৩৩ |  আপডেট  : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৩৭

জীবনযুদ্ধে হার না মানা এক যুবক। পরিবার-পরিজন ও সংসার নিয়ে ছিলেন চরম উৎকণ্ঠায়। কীভাবে চলবে সংসার। এ নিয়ে যেন তার দুশ্চিন্তার শেষ ছিল না। সংসারের প্রয়োজন মেটাতে সব কাজকেই আপন মনে করেন জিল্লুর রহমান। পরিবারের অনুরোধে গত ৪ বছর আগে বিয়ে করে জিল্লুর রহমান(৩২)। সংসারের অভাব অনটনের কারনে প্রথমে শুরু করেন সবজির ব্যবসা। কিন্তু সুবিধা করতে পারেননি। কারন হাট বাজারে সব সবজি গুলো বিক্রি না হলে সে সব সবজি পচে নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়াও  দিন শেষে গুনতে হয়েছে লোকসান। তবুও হার মানতে নারাজ তিনি।

জিল্লুর রহমান ব্যবসায় যখন লোকসানে দিশেহারা,ঠিক তখনই নতুন চিন্তা আসে মাথায়। কী ব্যবসায় টিকে থাকা সম্ভব,যা সারা বছরই বিক্রি করা যাবে। অবশেষে সিদ্ধান্ত নেন প্লাস্টিকের তৈরী হরেক পন্য যেমন বালতি,গাবলা,পট,মগ,জগ,টিফিনবক্স,ঝুড়ি,ডালা,মসলার ঝুড়ি কৌটা, চিরনী, কাপ, বাটি, ঢাকনা, কানের দুল, চুড়ি, ছোট বাচ্চাদের বল,ঝুনঝুনি সহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস বিক্রির। যা প্রতিটি সংসারে প্রয়োজন হয়। এসব জিনিস গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিক্রির জন্য একটি সাইসাইকেল কিনেছেন জিল্লুর রহমান। প্লাস্টিকের তৈরী এসব হরেক পন্য বাইসাইকেলে সাজিয়ে নিয়ে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে ছুটে চলে বিক্রি করে সে এখন স্বাবলম্বী। এখন তার সংসারে আর কোন অভাব-অনটন নেই।

জিল্লুর রহমানের গ্রামের বাড়ী নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার চৌবাড়িয়ায়। কিন্তু ব্যবসার জন্য সে এখন বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদরের ডহরপুর গ্রামে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে হরেক পণ্যের ব্যবসা করছে।

বুধবার সকালে আদমদীঘি উপজেলা সদরের চড়কতলা গ্রামে এ প্রতিনিধির সাথে দেখা মেলে হরেক পন্য বিক্রেতা জিল্লুর রহমানের সাথে। সে জানান তার নিজ এলাকায় ব্যবসা ভাল না হওয়ায় প্রায় তিন বছর ধরে আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে ব্যবসা করে আসছি। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির জন্য লকডাউন থাকার কারনে মার্কেট,দোকানপাট বন্ধ থাকায় গ্রামগঞ্জে বেচাকেনা আগের চেয়ে বেশী হচ্ছে। প্রতিদিন আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা বিক্রি হয়। এতে লাভ হয় প্রায় ৭শ‘ থেকে ৮শ‘ টাকা। তিনি আরো বলেন প্রতিদিন যে উপার্জন হয় তাতে স্বাছন্দে সংসার চলেও তিন বছর এ ব্যবসা করে  প্রায় দেড় লাখ টাকা আয় করেছেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত