আদমদীঘিতে ওএমএসের দোকানে উপচে পড়া ভীড়
প্রকাশ: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২১:১৩ | আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:১০
সান্তাহারে ওএমএসের দোকানে কম দামে আটা ও চাল কিনতে চলছে উপচে পড়া ভীড়। বরাদ্দ কম হবার কারনে লাইনের শেষ দিকে থাকা ক্রেতাদের ফেরত যেতে দেখা যাচ্ছে প্রতিদিন। জানা গেছে, খোলা বাজারে আটা ও চালের মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রনের জন্য সরকার নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য কম দামে আটা ও চাল কিনতে ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) চালু করেছেন। সারা দেশের মত আদমদীঘিতেও চলছে একর্মসুচি। শহরের ৪ প্রান্তে নিয়োগ করা হয়েছে ৪ ডিলার। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন এসব ওএমএসের দোকানে এক মেট্টিক টন আটা এবং সমপরিমান চাল বিক্রি করা হচ্ছে। আটা প্রতিকেজি ১৮ টাকা এবং চাল ৩০ টাকা। প্রতি গ্রাহক সবোর্চ্চ ৫ কেজি আটা ও চাল কিনতে পারছেন। দিন যত গড়াচ্ছে তত ভীড় বাড়ছে, এক কথায় হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ক্রেতারা। বিশেষ করে আটা’র চাহিদা ব্যাপক।
দোকান খোলার পুর্বে থেকে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। বিক্রি শুরুর ২/৩ ঘন্টার মধ্যে শেষ হয়ে যায় এক হাজার কেজি আটা। পক্ষান্তরে চালের চাহিদা থাকলেও সম-পরিমান চাল বিক্রি করতে সারা দিন লাগে বলে জানিয়েছেন বিক্রয় প্রতিনিধিরা। আটা শেষ; বিক্রয় প্রতিনিধির এই কথা বলার সাথে সাথে লাইনের শেষ দিকে থাকা গ্রাহকরা তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় হাতাহাতির উপক্রম হয়। এমন অবস্থায় গ্রাহক ও ডিলাররা আটা’র বরাদ্দ বৃদ্ধি করার দাবী জানিয়েছেন। ওএমএস ডিলারের বিক্রয় প্রতিনিধিরা বলেন, আটা’র মান অপেক্ষাকৃত ভাল হবার কারনে নিম্ন আয়ের মানুষের চেয়ে মধ্যবৃত্তদের চাহিদা বেশী। তারা কেউ কেউ নিজে এবং অনেকে কাজের লোক পাঠিয়ে আটা কিনছেন। এদিকে, শহর সংলগ্ন ইউনিয়নের নিম্ন আয়ের গ্রাহকও আসছেন আটা ও চাল কিনতে। এনিয়ে দেখা দিয়েছে বিপত্তি। সান্তাহার পৌরসভার কোন কোন ওয়ার্ড কাউন্সিলর পৌর এলাকার বাহিরের গ্রাহকদের নিকট আটা ও চাল বিক্রিতে বাধা প্রদান করে আসছেন। এর প্রতিবাদ করায় অপ্রতিকর ঘটনাও ঘটছে।
এবিষয়ে আদমদীঘি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কে, এম গোলাম রব্বানির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আটা’র বরাদ্দ বৃদ্ধি করার এখতিয়ার আমার নেই। বিষয়টি খাদ্য মন্ত্রনালয়ের।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত