আজ বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবস

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৩, ১১:৩৯ |  আপডেট  : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬

প্রত্যেক মা বাবা তাদের সন্তানদের জন্য যা করে থাকেন সেই ঋণ কখনোই শোধ করা সম্ভব নয়। কিন্তু, সেই মা বাবা প্রকৃতির নিয়মে বার্ধক্যের দিকে এগোলে সন্তান অন্ততঃ তাদের কর্তব্যটুকু পালন করতেই পারেন। বয়স্কদের যোগ্য সম্মান করা, দুঃসময়ে তাদের পাশে থাকা, তাদের সঙ্গে সময় কাটানো, তাদের একা না অনুভব করতে দেওয়ার দায়িত্ব নবীন প্রজন্মের ওপরেই বর্তায়। এই মূল্যবোধকে সবার মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করতেই ২১ আগস্ট বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবস পালন করা হয়ে থাকে।

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মধ্যে নানা পরিবর্তন দেখা দিতে থাকে। শারীরিক সমস্যা যত না জটিলতা সৃষ্টি করে, মানসিক অস্থিরতা, একাকীত্ব এই বয়সী মানুষের নিত্যসঙ্গী হয়ে ওঠে। সেখান থেকে মানসিক অবসাদ এবং অন্যান্য সমস্যা তাদের ঘিরে ধরে। এই সময়ে তাদের সঙ্গে সময় কাটানো, তাদের সঙ্গে স্বাভাবিক আচরণ করা এবং তাদের সবরকমভাবে সাহায্য করাই একমাত্র সমাধান। 

১৯৯০ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় এই দিনটির কথা প্রথম ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রসংঘের প্রত্যেকটি সদস্য দেশ এই দিনটি পালন করে থাকে।

রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০৫০ সালে পুরো বিশ্বে ষাটোর্ধ্ব বা তার বেশি বয়স্ক মানুষের সংখ্যা হবে ২০০ কোটি, যা বিশ্বের সর্বমোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ এরও বেশি। এই সংখ্যার বিচারে এশিয়া মহাদেশে প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যা হবে সর্বোচ্চ পরিমাণ।

 ১৯৮৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রোনাল্ড রেগান এই দিনটির সূত্রপাত করেন। ১৯৮৮ সালের ১৯ আগস্ট তিনি ৫৮৪৭ এর প্রোমালগেশনে স্বাক্ষর করেন। এর ভিত্তিতেই ২১ আগস্ট দিনটি বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবস হিসেবে পালিত হতে থাকে।

বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবস উদযাপন করার প্রধান লক্ষ্য হলো বয়স্ক মানুষজনের সামগ্রিক অবস্থার জন্য সচেতনতা গড়ে তোলা এবং তাদের বার্ধক্যকালীন সময়ে তাদের পাশে থাকা। এর সঙ্গে সমাজের প্রতিটি স্তরে তাদের অবদান তথা জ্ঞান ও দক্ষতাকে স্বীকৃতি জানাতে তাদের জন্য এই বিশেষ দিনটি নির্দিষ্ট করা হয়।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত