আজ বিশ্ব ডাক দিবস
প্রকাশ: ৯ অক্টোবর ২০২৩, ১১:০৪ | আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৯
ডাকবাক্স, ডাকঘর, ডাকপিয়ন বা ডাক হরকরা এসব শব্দ আজকের যুগে খুব প্রয়োজনীয় না হলেও একসময় মানুষের মন এসবেই পড়ে থাকতো। দিনের পর দিন অপেক্ষা করে থেকেছে ডাকপিয়নের জন্য। সবই এখন আধুনিকতার আলোতে পুরাতন স্মৃতিতে ঠাঁই নিয়েছে। বিশ্ব ডাক দিবস আজ।
এবারের প্রতিপাদ্য Together for Trust: Collaborating for a Safe and Connected Future. বাংলায় যার অর্থ হলো ‘আস্থার জন্য একসাথে: নিরাপদ এবং সংযুক্ত ভবিষ্যতের জন্য একত্রিত হই’।
১৮৭৪ সালের ৯ অক্টোবর সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরে ২২টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গঠিত হয় ‘ইউনির্ভাসেল পোস্টাল ইউনিয়ন’। পরবর্তীতে এ সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতিসংঘে উত্থাপিত একটি প্রস্তাব পাসের মাধ্যমে ১৯৬৯ সালে ৯ অক্টোবরকে বিশ্ব ডাক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়ন (ইউপিইউ) এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) সদস্য পদ লাভ করে। এরপর থেকে দেশে প্রতিবছর বিশ্ব ডাক দিবস পালিত হয়ে আসছে।
এখন ডিজিটাল যুগে এসে আগের আবেদন হারিয়ে গেলেও ডাক বিভাগকে নিয়ে সময়োপযোগী চিন্তাভাবনা চলছে। সে অনুযায়ী ইতোমধ্যে কিছু কার্যক্রমও গ্রহণ করা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গত বছরই জানিয়েছিলেন, আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো চিঠিপত্রের যুগ শেষ হওয়ায় দুর্দশাগ্রস্থ ডাক সার্ভিসকে একটা ভাল অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। আমরা ইতোমধ্যে সেটা অনেকটা পেরেছি। ই-কমার্সের জন্য ডাকঘর এখন একটা নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
দেশব্যাপী ডাকঘরের যে বিশাল অবকাঠামো ও জনবল আছে তা দেশের অন্য যেকোন প্রতিষ্ঠানের নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, হিমায়িত খাবার থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকায় ক্রেতার হাতে পৌঁছে দিতে ডাকঘরের বিকল্প নেই।
তিনি ডাক ব্যবস্থাকে ডিজিটাইজ করার পাশাপাশি কর্মরত ৪৫ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীকেও ডিজিটাল দক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে ডাকঘর ডিজিটাল করার কথাও জানান। এতে উৎপাদনমুখী কর্মকান্ডের ডিজিটাইজেশনের ভিত তৈরি হয়েছে।
সান
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত