আজ অহিংসার নেতা গান্ধীজির জন্মজয়ন্তী
প্রকাশ: ২ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:০৭ | আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৩
যিনি সারা পৃথিবীতে অহিংসার বাণী প্রচার করেছেন। এত মহৎ হয়েও খুবই সাধারণ তার জীবন যাপন। তিনি আর কেউ নন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী(২রা অক্টোবর ১৮৬৯ – ৩০শে জানুয়ারি ১৯৪৮) প্রতিবছর ২ অক্টোবর তার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সারা ভারতে এই দিনটি শ্রদ্ধার সাথে পালন করা হয়। ২ অক্টোবর ভারতের তিনটি জাতীয় ছুটির মধ্যে একটি। ২০০৭ সালের ১৫ ই জুন ইউএন সাধারণ পরিষদ ঘোষণা করেছিল যে, এদের গৃহীত একটি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২রা অক্টোবর দিনটি আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসাবে উদযাপিত করা হবে।
প্রতি বছর ২রা অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তী পালিত হয়। এটি ভারতের অন্যতম একটি জাতীয় সরকারি ছুটির দিন, এই দিনটি ভারতের সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়।
সারা ভারত জুড়ে প্রার্থনা পরিষেবা এবং শ্রদ্ধার মাধ্যমে গান্ধী জয়ন্তী পালিত হয়। বিশেষ করে নতুন দিল্লির রাজ ঘাটে, গান্ধীর স্মৃতিস্তম্ভে, যেখানে তাঁকে দাহ করা হয়েছিল, সেখানে সকলে শ্রদ্ধা অর্পণ করে। কলেজ, স্থানীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলি বিভিন্ন শহরে প্রার্থনা সভা, স্মরণ অনুষ্ঠান করে এই দিনটি উদ্যাপন করে। বিভিন্ন স্থানে চিত্রাঙ্কন এবং প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অহিংস জীবনধারাকে উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে গান্ধীর প্রচেষ্টাকে তুলে ধরে বিদ্যালয় এবং সম্প্রদায়ের সেরা প্রকল্পগুলির জন্য পুরস্কার প্রদান করা হয়। গান্ধীর প্রিয় ভজন (হিন্দু ভক্তিমূলক গান) রঘুপতি রাঘব রাজা রাম সাধারণত তাঁর স্মৃতিতে গাওয়া হয়। দেশজুড়ে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিগুলি ফুল ও মালা দিয়ে সজ্জিত করা হয়, এবং বহু লোক সেইদিনটিতে মদ্যপান করা বা মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকে। সরকারী ভবন, ব্যাংক ও ডাকঘর সেই দিন বন্ধ থাকে।(উইকিপিডিয়া)
ভারতে গান্ধী জয়ন্তী উপলক্ষে দেশজুড়ে মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থল রাজঘাটে সকালেই পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী মোদী, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সহ অন্যান্যরা। তারা সকলেই রাজঘাটে পুষ্প অর্পন করে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও রাজঘাটে পৌঁছে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
সান
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত