'অভ্যুত্থান' গুজব উড়িয়ে প্রকাশ্যে চীনা প্রেসিডেন্ট
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:১১ | আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯
গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে উজবেকিস্তানে একটি শীর্ষ সম্মেলন থেকে চীনে ফেরার পর প্রথম জনসাধারণের মাঝে উপস্থিতি হয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানী বেইজিংয়ে একটি প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন তিনি। কাতার ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানায়।
শি জিনপিং সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গৃহবন্দী করা হয়েছে এমন গুজব বেশ কয়েকদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু গৃহবন্দীর গুজব উড়িয়ে দিয়ে শি প্রকাশ্যে এলেন তিনি।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধপরবর্তী সময়ে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিশ্বব্যবস্থায় বিকল্প নেতা হিসেবে শি বৈশ্বিক মঞ্চে নিজের অবস্থান অনেক বেশি পাকাপোক্ত করেছেন।
করোনাভাইরাস মহামারির পাশাপাশি তাইওয়ান ইস্যুতে পশ্চিমাদের সঙ্গে তিক্ততা থাকা সত্ত্বেও তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা নিশ্চিত করতে যাচ্ছেন শি। এক দশক আগে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার পর শি অবিচলভাবে ক্ষমতা পোক্ত করেছেন এবং ভিন্নমত ও বিরোধিতার সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন।
শি ২০১৮ সালে সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকার বিধিনিষেধ তুলে দেন। তখনই বিষয়টি ঠিক হয়ে যায় যে তিনি তৃতীয় মেয়াদে পাঁচ বছর কিংবা আরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকতে যাচ্ছেন।
শির শাসনামলে দলের মধ্যেই দুর্নীতি কঠোর হস্তে দমন করে যাচ্ছেন। জননিরাপত্তাবিষয়ক সাবেক ভাইস মিনিস্টার সান লিজুন, সাবেক বিচারমন্ত্রী ফু ঝেংহুয়া এবং সাংহাইয়ের সাবেক দুই পুলিশপ্রধান চোংকিং ও শানজিকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের এই গ্রেপ্তারের ঘটনা চীনে গত কয়েক বছরে মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দমন অভিযান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের দমাতে এসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। তার আমলে হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলন গুঁড়িয়ে দিতে একের পর এক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।
এছাড়াও, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশে নিপীড়নমূলক নীতির জন্যও মানবাধিকার ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্রভাবে সমালোচিত শি। সেখানকার প্রায় ১০ লাখ উইঘুরসহ অন্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের কথিত সন্ত্রাসবাদ দমনের কথা বলে আটকে রাখা হয়েছে।
আগামী ১৬ অক্টোবর চীনা কমিউনিস্ট পার্টির পঞ্চবার্ষিক সম্মেলন। এই সভায় তিনি তৃতীয় মেয়াদে দলের নেতৃত্বে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে যাচ্ছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। সম্মেলনকে সামনে রেখে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় চলছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত