অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধ, আট দেশ থেকে আসায়ও নিষেধাজ্ঞা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৫ জুলাই ২০২১, ২১:২৩ |  আপডেট  : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৩

লকডাউনে বিদেশগামীদের জন্য অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালানোর অনুমতি দেওয়া হলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় আবার তা বন্ধ করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু থাকলেও কোভিড-১৯ সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ভারত, নেপালসহ আটটি দেশ থেকে বাংলাদেশে আসায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) দুটি নির্দেশনায় অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের বিষয়ে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়।

এদিন দেশে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। পাশাপাশি চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদও এক সপ্তাহ বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার।

বেবিচক জানিয়েছে, ৮ জুলাই প্রথম প্রহর থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত সব ধরনের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকবে।

দেশে কোভিড-১৯ মহামারীর দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত কঠোর লকডাউন জারি করেছিল সরকার।

সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই বিধি-নিষেধ ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ায়। এই সময়ে সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকছে।

১ জুলাই লকডাউন শুরুর পর অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল বেবিচক। এক দিন পর বিদেশগামীদের জন্য সীমিত সংখ্যক অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।

এই দফায় বিদেশগামীদের জন্য অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলবে কি না, বেবিচকের নতুন নির্দেশনায় তা স্পষ্ট করা হয়নি।

অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল থাকলেও বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

তবে সোমবার বেবিচক জানায়, ভারত, নেপাল, বতসোয়ানা, মঙ্গোলিয়া, নামিবিয়া, পানামা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও তিউনিশিয়া থেকে কেউ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে না।

বাংলাদেশি নাগরিক ও প্রবাসী কর্মী যারা ১৫ দিনের মধ্যে এই দেশগুলো ভ্রমণ করেছেন, তারা বিশেষ ব্যবস্থায় দেশে ফিরতে পারলেও ফেরার পর তাদের বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

১৪ দেশ থেকে বাংলাদেশে আসার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

দেশগুলো হল- যুক্তরাজ্য, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, জর্জিয়া ও উরুগুয়ে।

এসব দেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের যাদের কোভিড-১৯ টিকা নেওয়া রয়েছে, তাদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। যাদের টিকা নেওয়া নেই, তাদের থাকতে হবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে।

বিমানবন্দরে কারও মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ দেখা গেলে তাকে সরকার নির্ধারিত হাসপাতালে পাঠানো হবে এবং প্রয়োজনে সেখানেই তাকে আইসোলেশনে রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।

দুই তালিকার ২২টি দেশ বাদে অন্য যে কোনো দেশ থেকে বাংলাদেশে এলে বাধ্যমতামূলকভাবে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে বেবিচকের নির্দেশনায়।

বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ থাকলেও বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়নি।

বিদেশগামীদের সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর জারি করা বিধি-নিষেধ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বেবিচকের নির্দেশনায়।

বিদেশ যাওয়া এবং আসার ক্ষেত্রে ১০ বছরের বেশি বয়সের সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে করোনাভাইরাসের পিসিআর পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত