অবহেলিত মানুষের পাশে - মলয় ট্রাস্ট

  ওসমান গনি

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২২, ১২:২৪ |  আপডেট  : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৭

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে,  উন্নয়নশীলতা দেশের তালিকায় নাম লিখিয়ে বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। এর পেছনে অবদান রয়েছে দেশের সরকার প্রধান ও দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর অক্লান্ত হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম। দেশের সকল শ্রেনীপেশার মানুষের সম্মিলিত অংশ গ্রহনের কারনেই দেশ আজ হাটি হাটি পা পা করে তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ থেকে আজ স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে দেশের সকল শ্রেনীপেশার মানুষকে কে আত্মনিয়োগ করা উচিত। দেশের ও সমাজের অসহায় মানুষ যারা রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী কে অর্থনৈতিক, চিকিৎসা ও সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে আদর্শ নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলতে আত্মনিয়োগ করেছে এমন একটি দম্পতি হলো এডভোকেট রফিকুল ইসলাম ও এডভোকেট মনোয়ারা খাতুনের দম্পতি। এই দম্পতির দ্বারা প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান হলো কুৃমিল্লার চান্দিনার " মলয় ট্রাস্ট " নামের একটি প্রতিষ্ঠান। যা কুুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলা সদর হতে ৮ কিমি দক্ষিণ পশ্চিমে মাইজখার ( তিতপুর) গ্রামে অবস্থিত।  যার প্রতিষ্ঠাতা হলো ব্যক্তিগত জীবনে ঢাকা জজকোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসাবে নিয়োজিত এক দম্পতি। কুৃমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার ৯ নং মাইজখার ইউনিয়নের মাইজখার ( তিতপুর) গ্রামের এডভোকেট রফিকুল ইসলাম ও তার সহধর্মিণী এডভোকেট মনোয়ারা খাতুনের বসবাস। তাদের পারিবারিক জীবনে একটি মাত্র পুত্র সন্তান রয়েছে। সেও আইনজীবী। 

পারিবারিক ভাবে তিনি ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত। জনাব এডভোকেট রফিকুল ইসলাম ও এডভোকেট মনোয়ারা খাতুন বহু আগ থেকেই স্বপ্ন দেখতেন সমাজের পিছিয়ে পড়া অসহায় মানুষগুলো কে কিভাবে আর্থসামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করা যায়। সেই চিন্তা ও চেতনা থেকে এই দম্পতি নিজ গ্রামে গড়ে তোলেন " মলয় ট্রাস্ট " নামের একটি প্রতিষ্ঠান। যে প্রতিষ্ঠানে রয়েছে, সাধারন শিক্ষা, অসহায় মানুষের স্বাস্থ্যসেবা, দ্বীনি শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা ও বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ আরও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। এই " মলয় ট্রাস্ট " নামের প্রতিষ্ঠান টি প্রতিষ্ঠা করার জন্য বহু আগ থেকে পরিকল্পনা করলেও ২/৩ বছর আগ থেকে তা বাস্তবায়ন শুরু করেন এই দম্পতি। জনাব এডভোকেট রফিকুল ইসলাম ও এডভোকেট মনোয়ারা খাতুন তাদের জীবনে অর্জিত সমস্ত স্থাবর অস্থাবর (১৫৫ শতাংশ) সম্পতি এই " মলয় ট্রাস্ট " এর নামে ওয়াক্‌ফ করে দেন। শুধু তাই নয়, এডভোকেট রফিকুল ইসলাম ও এডভোকেট মনোয়ারা খাতুন তারা দুইজন ই ঢাকা বার এসোসিয়েশনের সদস্য হিসাবে তা হতে যে অনুদান পাবেন সেই অনুদান টুকুও ট্রাস্টের নামে ওয়াক্‌ফ করে দেন। যাতে তার পরিবারের কেউ অদূরভবিষ্যৎ এই ট্রাস্টের সম্পতিতে কোনভাবেই আপত্তি করতে না পারে। এই ট্রাস্ট টি গত ২০২১ সালে ঢাকা জয়েনস্টোক কোম্পানী হতে রেজিস্ট্রি লাভ করে। চারপাশে বাউন্ডারী দেয়ালে ঘেরা "মলয় ট্রাস্ট"। 

এই ট্রাস্টের ভিতরে পশ্চিম পাশে তিনতলা বিশিষ্ট্য ভবনটি হলো " মলয় ট্রাস্ট" এর প্রশাসনিক ভবন। প্রশাসনিক ভবনের পশ্চিম দক্ষিণ পাশে রয়েছে গবেষণা ভবন। গবেষণা ভবনের সামনে অর্থাৎ পূর্ব, উত্তর ও দক্ষিণ পাশে রয়েছে রয়েছে বিভিন্ন বিষয়ের একাডেমিক ভবন। এই " মলয় ট্রাস্ট" এর কিছু ভবন নির্মান কাজ শেষ হয়েছে আরও কিছু ভবনের নির্মান কাজ চলছে খুব দ্রুত গতিতে। ট্রাস্টের গবেষণাগারে রয়েছে বিভিন্ন দেশী বিদেশী জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিদের লেখা গবেষণা মূলক বই পুস্তক। এলাকার যেকোন শিক্ষিত মানুষ সেখানে গিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করতে পারে। এই ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠা নিজেও একজন গবেষক ও আইনজ্ঞ। এই " মলয় ট্রাস্ট "" পাখিডাকা, ছায়া ঢাকা সুশীতল প্রাকৃতিক এক নিবিড় পরিবেশে অবস্থিত। এই ট্রাস্টের বাউন্ডারী ওয়ালের ভিতর চারদিক সুপারী ও বিভিন্ন ফুলগাছ দ্বারা পরিবেষ্টিত। এই ট্রাস্টের পবিবেশ এতই মনোরম যে, কেউ দেখলেই প্রাণ জুড়িয়ে যায়। এই ট্রাস্টে মানুষের যাতায়াত সুবিধার্থে তিকদিকে রয়েছে কাচাপাকা সড়ক। বর্তমানে এই " মলয় ট্রাস্ট" এর পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন এডভোকেট রফিকুল ইসলাম দম্পতি। মলয় ট্রাস্ট পরিচালনায় দায়িত্বে থাকার কারনে এই দম্পতি নিজস্ব গাড়ীযোগে নিয়মিত ঢাকা আসাযাওয়া করে তারা তাদের অফিস করছেন। 

 

 

 

লেখক- সাংবাদিক ও কলামিস্ট

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত