অন্তঃসত্ত্বা নারীদের টিকার বিষয়ে সুনিদিষ্ট ঘোষণা আসা প্রয়োজন: হাইকোর্ট
প্রকাশ: ২ আগস্ট ২০২১, ১৬:৩৮ | আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৩০
অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা দেওয়ার বিষয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সুনিদিষ্ট ঘোষণা আসা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে করা এক ভার্চ্যুয়াল রিটের শুনানিতে সোমবার (২ আগস্ট) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেছেন, আমার মনে হয় এই বিষয়টি একটি সুনির্দিষ্ট ঘোষণা আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আসা প্রয়োজন।
গত বৃহস্পতিবার মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব এবং মোহাম্মদ কাউছার একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং আইইডিসিআরের পরিচালক কাছে একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছিলো। এরপর গতকাল তারা রিট করেন।
শুনানিতে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল সাহেবকে বলবেন অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ব্যাপারে, যদিও গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রেসের সামনে বলেছেন, অন্তঃসত্ত্বা নারীদের টিকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। আমার মনে হয় এই বিষয়টি একটি সুনির্দিষ্ট ঘোষণা আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আসা প্রয়োজন। অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলবেন তিনি যাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যাতে তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে দেয়। যেহেতু মন্ত্রী সাহেব বলেছেন, সেহেতু আমরা ফরমাল কোনো আদেশ দিচ্ছি না। অ্যাটর্নি জেনারেল সাহেব যাতে যোগাযোগ করেন এবং এ বিষয়ে একটা পরিষ্কার বক্তব্য আসে।
এর আগে দেওয়া নোটিশে বলা হয়েছিলো, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে অন্তঃসত্ত্বাদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অন্তঃসত্ত্বাদের ফাইজার এবং মর্ডানার উৎপাদিত কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। টিকা গ্রহীতা অন্তঃসত্ত্বাদের মধ্যে তেমন কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। বরং গবেষণার তথ্যানুযায়ী অন্তঃসত্ত্বা নারীরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার অধিক ঝুঁকির মধ্যে থাকে। একইসঙ্গে তাদের গর্ভের সন্তানের জীবন বিপদাপন্ন হয়ে পড়ে।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, অন্তঃসত্ত্বাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এই অধিকার বাংলাদেশের সংবিধান স্বীকৃত একটি মৌলিক অধিকার। তাদের অগ্রাধিকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করা বৈষম্যমূলক এবং মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত