বাংলাদেশ লেবার পার্টির আস্থা -
‘জাতিসংঘই পারে কাশ্মীরে স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে’
প্রকাশ: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৬ | আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:৩২
সংঘাতমুক্ত স্বাধীন কাশ্মীর প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা রক্ষায় তিনি বলেন, একমাত্র জাতিসংঘই পারে কাশ্মীরীদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে। এজন্য জাতিসংঘের সরাসরি হস্তক্ষেপ জরুরি।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। 'কাশ্মীর সংহতি' দিবসের প্রতি সংহতি জানাতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ লেবার পার্টি।
জাতিসংঘের রেজুলেশন অনুযায়ী কাশ্মীরি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার হিসেবে তাদের ন্যায্য সংগ্রামের প্রতি পাকিস্তানের পূর্ণাঙ্গ সমর্থন প্রকাশ করার জন্য প্রতিবছর ৫ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীর সংহতি দিবস পালিত হয়। দিবসটি বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে নিপীড়িত কাশ্মীরি জনগণের দুর্দশার কথা তুলে ধরে এবং দীর্ঘস্থায়ী বিরোধের সমাধানের প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক নিরীহ কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং বর্বরতার প্রতি বিশ্বসম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য দিবসটিতে সমাবেশ, জনসভা এবং সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, কাশ্মীরিদের ন্যায্য অধিকার দিতে হবে। সংবিধানে আর্টিকেল ৩৭০ পুনঃপ্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ভারতকে কাশ্মীরি জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে ফিলিস্তিনের ভাগ্য বরণ করতে হতে পারে কাশ্মীরিদের। ৩৭০ বাতিল করার মধ্য দিয়ে সকল ভারতীয় কাশ্মীরে জমি ক্রয় করতে পারবে। এই নীতির কারণে অদূর ভবিষ্যতে নিজ ভূমে পরবাস হতে পারে কাশ্মীরের মুসলিম জনতা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শুধু পাকিস্তান ও ভারতকে সংযত থাকার অনুরোধ করে, কিন্তু কাশ্মীরের প্রকৃত সমস্যা সমাধানের জন্য কেউ কাজ করে না।
তিনি বলেন, কাশ্মীর সংকট দক্ষিণ এশিয়ার জন্য হুমকি স্বরূপ। কাশ্মীরিদের যে বিশেষ স্বায়ত্তশাসন (আর্টিকেল ৩৭০) তা রদ করে ভারত এই অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছে। ভারত সরকারকে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছেড়ে কাশ্মীরের জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের উচিৎ কাশ্মীরিদের পাশে দাঁড়ানো। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে গণভোট অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা রক্ষায় কাশ্মীর সংকটের সমাধান করতে হবে।
মানবাধিকার সংরক্ষণ সংস্থার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জোহরা খাতুন জুঁই বলেন, কাশ্মীর ভারত ও পাকিস্তানের উভয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে অধিকাংশ মুসলিম নিয়মিত নির্যাতিত হচ্ছে। কাশ্মীরের সংকটের ভুক্তভোগী আমরা সবাই। কাশ্মীরের সমস্যা সমাধানে আজকের এই সংহতি দিবসে আমাদের সবাইকেই একত্রিত হওয়া উচিত। কারফিউ, অবৈধ আটক, খুন, সুপরিকল্পিত হত্যা, অবরোধ, বসতবাড়িতে আগুন, নির্যাতন, গুম, ধর্ষণ, মুসলিম নারীদের উপর নির্যাতন এবং নকল এনকাউন্টারের মাধ্যমে হত্যা কাশ্মীরের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে উঠেছে। এসব মৃত্যু এবং নির্যাতন বন্ধের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সুশীল সমাজ এবং জাতিসংঘের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ইমাম সমাজের চেয়ারম্যান মাওলানা বেলায়েত হোসেন আল ফিরোজী, লেবার পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদী, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন খান, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনিন সরকার, কেন্দ্রীয় নেতা মো. জনি হোসেন প্রমুখ।
সা/ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত