৪৮ ঘণ্টার হরতালের দ্বিতীয় দিন আজ, সড়কে বেড়েছে গণপরিবহন

  গ্রামনগর বার্তা অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৩৭ |  আপডেট  : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:১৪

দেশব্যাপী বিএনপি ও সমমনা দল এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের দ্বিতীয় দিন আজ। রোববার ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই হরতাল শেষ হবে মঙ্গলবার ভোর ৬টায়। নির্বাচন কমিশনের 'একতরফা' তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোটের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার হরতালের ডাক দেয় দলগুলো।

বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষ থেকে হরতালের ডাক দেন দলটি যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এরপর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাছুমও এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একই সময়ে হরতালের ডাক দেয়।

আজ সোমবার সকালে রাজধানীতে গণপরিবহন প্রায় স্বাভাবিক। ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি সড়কে রয়েছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা। চালকেরা বলছেন, হরতালে অফিসের সময় ছাড়া যাত্রী কিছুটা কম। তবে আগের কয়েকদিনের চেয়ে সাধারণের চলাচল বেড়েছে। যাত্রী ও পথচারীরা প্রয়োজনের তাগিদে নামছেন সড়কে।

হরতালের সমর্থনে সড়কে কাউকে পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। তবে সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।

এদিকে হরতালের সমর্থনে রোববার দিবাগত রাতে ধানমন্ডি, যাত্রাবাড়ি ও টঙ্গিতে ২টি বাস ও একটি ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় আহত হয়েছেন একজন। এর আগের রাতে (শনিবার দিবগাত) জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

গত ২৮ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা ও সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। সমাবেশ শুরুর আগেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় দলটির নেতা–কর্মীরা। এ সময় বিক্ষুব্ধ বিএনপি কর্মীরা কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা চালায়। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালেও।

বিএনপিকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য নিহত হন। আহত হন শতাধিক। এ সময় সমাবেশের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীর ওপরও হামলা করা হয়। ভাঙচুর করা হয় গণমাধ্যমের কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল।

ওই দিন সন্ধ্যায় রোববার সারা দেশে সকাল–সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। হরতালের মধ্যেও বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। তাদের কর্মসূচির সাথে মিল রেখে জামায়াতে ইসলামীও তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে। এরপর থেকে বিভিন্ন মেয়াদে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে আসছে দলটি।

সব শেষ, আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের দাবিতে বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ পালন করে বিএনপি। এটি ছিল তাদের পঞ্চম দফার অবরোধ কর্মসূচি।

 

কা/আ

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত