২৮ অক্টোবর নাশকতার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ গ্রেফতার

  গ্রামনগর বার্তা অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:৩০ |  আপডেট  : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৯

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ এবং পরবর্তী সময়ে নাশকতার পরিকল্পনা করা এবং নাশকতায় সক্রিয় থাকার অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রদলের এক নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক শামিম মাহমুদকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর মুগদা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া রাজধানীর পল্লবীতে বসুমতি পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মারুফ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) ড.খ. মহিদ উদ্দিন।

পুলিশের দাবি, গ্রেফতার এই ছাত্রদল নেতা মহাসমাবেশের দিন পল্টন পার্টি অফিস এলাকা এবং রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

গ্রেফতার শামীমাকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মহিদ উদ্দীন বলেন, ‘শামীম গত ২৬ অক্টোবর থেকে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল, যার বাস্তবায়ন করে ২৮ অক্টোবর। সেদিনের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, শামীম পল্টন পার্টি অফিস ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নাশকতার জন্য ঢুকেছিল। ব্যাগে করে ককটেল নিয়ে মুহুর্মুহু বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। শামীম কেন্দ্রীয় এক নেতার নির্দেশনা অনুযায়ী সমাবেশের আগে দনিয়ায় পদচারি সেতুর নিচে গিয়ে মারুফ নামে একজনের থেকে একটি ব্যাগ সংগ্রহ করে। সেটি এনে রিয়াদ নামে একজনের কাছে নয়াপল্টনে পৌঁছে দেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী সেটা করা হয়। ২৮ তারিখে সে কাজগুলো তারা করতে পারে সফলভাবে।’

তিনি বলেন, ‘গত ৫ অক্টোবর সবুজবাগ থানার মানিকদিয়া গ্রিন মডেল টাউনের ভেতরের শেষ মাথায় খালপাড়ে কতিপয় দুষ্কৃতকারী ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা করে। অল্প দূরে সবুজবাগ থানার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যায়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ, একটি অবিস্ফোরিত ককটেল, একটি পেট্রোল বোমা, দুইটি ২৫০ মি লি প্লাস্টিকের বোতলে ৫০০ মি লি পেট্রোল, একটি মোটরসাইকেল, একটি হেলমেট। সেদিন জব্দ করা মোটরসাইকেলের সূত্র ধরে শামীমকে শনাক্ত করা গেছে।’

পল্লবীর ১১ নম্বর ওয়ালটনের গলিতে পার্কিং করা বসুমতি পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গ্রেফতার মারুফকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বিএনপি নেতা সাজ্জাদ কাউন্সিলর ও জসিমের নির্দেশে এবং তাদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় ও প্ররোচনায় কেরোসিন ঢেলে এই বাসে আগুন দেয় মারুফ। এই কাজের জন্য তাকে ৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা হয়েছে পল্লবী থানায়।’

বিএনপি তালাবদ্ধ অফিসের চাবি পুলিশের হাতে দলটির এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ড. খ. মহীদ উদ্দীন বলেন, ‘এর আগে একাধিকবার বলেছি, বিএনপি অফিসের চাবি তাদের হাতে। একাধিকবার স্পষ্ট করে বলেছি, এই চাবি আমাদের হাতে নেই।’

 

কা/আ

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত