১৫০ গ্রাহককে পাওনা টাকা ফেরত - ইভ্যালির

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৮ |  আপডেট  : ১৮ মে ২০২৪, ১৬:০৪

ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে পাওনা টাকা ফেরত পেয়েছেন ইভ্যালির ১৫০ জন গ্রাহক। 

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে এসব গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। অধিদপ্তরের সভাকক্ষে মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান উপস্থিত থেকে গ্রাহকদের হাতে এসব পাওনা টাকার চেক তুলে দেন।

মূলত, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি থেকে অর্ডার করে পণ্য না পেয়ে যারা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেছিলেন এমন গ্রাহকরাই আজ (রোববার) টাকা ফেরত পেয়েছেন। অধিদপ্তরের শুনানির পর ২৩৬টির মতো অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ইভ্যালির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত এক মাসে ইভ্যালির ব্যবসায়িক মুনাফার অংশ থেকে এই অর্থ প্রদান সাপেক্ষে অভিযোগগুলো নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অভিযোগ) মাসুম আরেফিন বলেন, ইভ্যালির ব্যাপারে ভোক্তা অধিকারে প্রায় ৭ হাজারের মতো অভিযোগ পড়েছে। এর মধ্যে আজ (রোববার) ১৫০টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এসব গ্রাহকদের ১৫ লাখ টাকার ফেরত দেওয়া হয়েছে।

এ সময় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মাদ রাসেল উপস্থিত ছিলেন।আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মাদ রাসেল বলেছেন, ইভ্যালির কাছে প্রত্যেক পাওনাদারের দেনা পরিশোধ করা হবে। এক্ষেত্রে যারা অভিযোগ করেছেন অথবা যারা অভিযোগ করেননি সবাইকেই তালিকা অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করা হবে।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারের জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার কার্যক্রমে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রাসেল বলেন, শুরু থেকেই ভোক্তাদের কথা চিন্তা করে টাকা ফেরতের বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আমাদের উৎসাহিত করেছে অথবা আমরা বলতে পারি বাধ্য করেছে। এই বাধ্য করানোর কারণে আজ শুধু ভোক্তারা যে উপকৃত হচ্ছেন তেমনটি নয় বরং ইভ্যালিও উপকৃত হচ্ছে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে এখনো খুব বেশি উৎফুল্ল না। কারণ আজ মাত্র ১৫০ জনের টাকা আমরা ফেরত দিতে পেরেছি।

তিনি বলেন, এই টাকাটা কীভাবে দিচ্ছি সেটি হচ্ছে মূল বিষয়। আমি খুব স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আজ যে ১৫০ জন গ্রাহককে টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে সেটা গত এক মাসে ইভ্যালির ব্যবসা থেকে আয় করা টাকা। এই টাকা আমাদের কমিশনের টাকা। বিক্রেতাদের পণ্য বিক্রি করে আমরা মার্চেন্ট হিসেবে যে কমিশন পেয়েছি সেটা থেকেই গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে পেরেছি। আমরা এই ১ মাসে ৬৫ হাজার অর্ডার সফলভাবে ডেলিভারি করেছি। এটা থেকেই আমরা কমিশন উপার্জন করেছি।

রাসেল আরও বলেন, ইভ্যালির এখনকার বিজনেস পলিসি খুব ক্লিন (স্বচ্ছ)। এখন ক্যাশ অন ডেলিভারির সুযোগ রয়েছে। আপনি যখন প্রোডাক্ট পেয়ে টাকা দেবেন তখন সেখানে কোনো ধরনের প্রতারণার সুযোগ থাকে না। আর মার্চেন্টদের টাকাও আমরা হ্যান্ডেল করি না।

ইভ্যালির দুরবস্থার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে রাসেল বলেন, ওই অবস্থাটা একটা এক্সিডেন্ট ছিল। আমি সামলে উঠতে পারিনি। সেজন্য আমি স্যরি বলেছি। এখনো আবার স্যরি বলছি। আমরা কিন্তু ঘোষণা দিয়েছি, যারা অভিযোগ করেছেন অথবা যারা অভিযোগ করেননি সবার দেনাই পরিশোধ করব। আমরা যদি বিজনেস করতে পারি তাহলে যত দেনা আছে সকল দেনাই আমরা পর্যায়ক্রমে হলেও পরিশোধ করতে পারব।

 

সা/ই

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত