১০ ডিসেম্বর মাদারীপুর মুক্ত দিবস
এসআর শফিক স্বপন, মাদারীপুর
প্রকাশ: ৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:২৮ | আপডেট : ৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩:৪২
১০ডিসেম্বর মাদারীপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে মাদারীপুরের সমাদ্দার এলাকায় একটানা ৩৬ ঘণ্টা যুদ্ধ শেষে পাক হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে। শত্রুমুক্ত হয় মাদারীপুর জেলা। হাজার হাজার মুক্তকামী মানুষ জয় বাংলা স্লোগানে রাস্তায় নেমে আসে। বিজয় পতাকা উড়ে বাড়িতে বাড়িতে।
দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে মাদারীপুরের মুক্তিযোদ্ধারা একের পর এক পরাস্ত করতে থাকে পাক বাহিনী ও তাদের দোসরদের।বিভিন্ন স্থানের যুদ্ধে পরাস্ত হয়ে পাকবাহিনী ও দোসররা মাদারীপুর থেকে পালিয়ে যাবার কৌশল খুঁজতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধারা গোপনে জানতে পারেন, পাকহানাদার বাহিনী মাদারীপুরের এ আর হাওলাদার জুট মিলের ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে খলিল বাহিনীর প্রধান খলিল খানের নেতৃত্বে ৮ ডিসেম্বর সারারাত ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সমাদ্দার ব্রিজের চতুর্দিকে অবস্থান নেয়। তুমূল যুদ্ধ শেষে ১০ ডিসেম্বর বিকেলে আত্মসমর্পণ করে পাক হানাদার বাহিনী। বিজয় পতাকা উড়ে মাদারীপুরে। শহীদ হন মাদারীপুরের সর্বকনিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা সরোয়ার হোসেন বাচ্চু। এ যুদ্ধে ২০ পাক হানাদার সেনা নিহত হয়। এই সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক মর্যাদা দিয়েছে। আজ আমরা স্বাধীনভাবে বাংলাদেশে বসবাস করছি।
বীর মুক্তিযুদ্ধা কাজী আলী হোসেন বলেন আমরা আমাদের জিবন দিয়ে বাংলার যে স্বাধীনতা এনেছি তা যতোদিন বাচবো মাথা উচুকরে বাচবো।১০ডিসেম্বর আমাদের আনন্দের দিন হলেও আমরা অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের হারিয়েছি বিজয় দিবস আনতে পেরেছি।
মাদারীপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তরুন প্রজন্মকে জানাতে হবে।নইলে তারা বিকৃত ইতিহাস জানবে। তরুনরাই মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসের চালিকা শক্তি।আজ মাদারীপুর মুক্ত দিবসে সকল নিহত আহত ও রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি।
মাদারীপুরে মাটিতে এখনও এদেশীয় দোসররা ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। তাই বিজয়ের এ মাসেই সকল যুদ্ধপরাধীসহ রাজাকারদের বিচারের আওতায় এনে মাদারীপুর কলঙ্কমুক্ত করার দাবী মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত