সোমবার রাজধানীতে যেসব কেন্দ্রে টিকা পাবে স্কুল শিক্ষার্থীরা
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২১, ১৩:৫৯ | আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৭
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুলগামী শিশুদের ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু হচ্ছে কাল (১ নভেম্বর) থেকে। প্রথম দফায় রাজধানীর ১২টি কেন্দ্রে এবং ঢাকার বাইরের ২১টি কেন্দ্রে এ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।
রোববার (৩১ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম। তিনি জানান, ১ নভেম্বর থেকেই (কাল) স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকা প্রয়োগ শুরু হবে। এ লক্ষ্যে আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। বর্তমানে ৭০ লাখ ফাইজারে টিকা রয়েছে। যা দিয়ে ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হবে। আগামী নভেম্বরে আরও ৩৫ লাখ ডোজ ফাইজারের টিকা দেশে আসবে।
খুরশীদ আলম বলেন, ফাইজারের টিকা দেওয়ার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকতে হয়। এজন্য দেশের সব জেলাতেই ক্রমান্বয়ে প্রয়োজন মতো শীতাতপ ব্যবস্থা ঠিক করে দেশব্যাপী ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু করা হবে।
রাজধানীর যেসব কেন্দ্রে টিকা পাবে স্কুল শিক্ষার্থীরা
১. হার্ডক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল; ২. সাউথপয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ; ৩. চিটাগং গ্রামর স্কুল; ৪. কসমো পলিটন ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ; ৫. বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ; ৬. আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ; ৭. ঢাকা কমার্স কলেজ; ৮. কাকলি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ; ৯. সাউথ ব্রিজ স্কুল; ১০. স্কলাসটিকা স্কুল; ১১. বিএইচ খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ; ১২. আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি।
দেশে স্কুল শিক্ষার্থী প্রায় এক কোটি, টিকা ৭০ লাখ
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ৭০ লাখ ফাইজারে টিকা রয়েছে। যা দিয়ে ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হবে। আগামী নভেম্বরে আরও ৩৫ লাখ ডোজ ফাইজারের টিকা দেশে আসবে। এদিকে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী প্রায় এক কোটির শিক্ষার্থী রয়েছে।
এরআগে গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ১ নভেম্বর থেকে ঢাকার ১২টি কেন্দ্রে এবং ঢাকার বাইরের ২১টি কেন্দ্রে এ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকা দেওয়ার জন্য কেন্দ্র বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী যেসব স্থানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ সুবিধা নেই সেখানে দ্রুততার সঙ্গে শীতাতপ সুবিধা তৈরি করে ঢাকায় টিকা কেন্দ্র বাড়ানোসহ দেশের সব জেলায় ক্রমান্বয়ে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে টিকার কোনো সংকট নেই। ২৭ অক্টোবর দিবাগত রাত দেড়টায় চীনের সিনোফার্মের আরও ৫৫ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। এ নিয়ে এখন আমাদের হাতে প্রায় ২ কোটি ডোজ টিকা মজুদ রয়েছে। আগামীতেও এভাবেই টিকা আসতেই থাকবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই টিকাদানের ক্ষেত্রে সরকারের লক্ষ্যমাত্রার ৫০ ভাগপূরণ করা সম্ভব হবে। ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষদের জন্যও টিকাদান কার্যক্রম চলমান থাকবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত