সোনালী রোপা আমন ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষকরা

  সারওয়ার আলম মুকুল

প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:৫৫ |  আপডেট  : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৬

উত্তরের জেলার খাদ্য শষ্যের ভান্ডার হিসাবে খ্যাত রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা। উপজেলায় একটি পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়নের দিগন্তজুড়ে ফসলের মাঠ। 

চারদিকে বর্তমানে সোনালী ধানের সমারোহ। নতুন আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের চোখে মুখে হাসির ঝিলিক ফুটেছে। মাঠে মাঠে কৃষক তার উৎপাদিত ধান গোলায় তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে অগ্রহায়ণে গ্রাম বাংলার মাঠে মাঠে উত্তরের মৃদু বাতাসে সোনালী ধান দোল খাচ্ছে। খরিপ-২ মৌসুমে রোপা আমন হাইব্রিড ও উপশী জাতের সোনালী ধান কাটা শুরু হয়েছে। রোপা আমন ক্ষেত যেন তারুন্যের হাসি হাসছে। কৃষকদের মুখেও হাসি ফুটে উঠেছে। 

নিজপাড়া গ্রামের কৃষক প্রহলাদ চন্দ্র জানান, বাঙ্গালির বার মাসে তের পার্বণ। মাঠ ভরা সোনালী ধান বলে দেয় গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য নবান্ন এসেছে, পাড়া-পড়শী, আত্বীয়-স্বজনকে
নিয়ে এ ব্যতিক্রম কৃষকের উৎসব। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইয়েদুল ইসলাম জানান, উত্তরের বাতাসে পাঁকা ধানের সুমিষ্ঠ ঘ্রাণে মুখরিত হওয়ায় মন-প্রাণ জুড়িয়ে যায় কৃষকের। নতুন ধানের চাল তৈরি করে নানান পিঠা-পুলি খাওয়ার উৎসবের মেতেছে কাউনিয়ার কৃষক। 

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১টি পৌরসভাসহ ৬ইউনিয়নে লক্ষ্যমাত্র নির্ধাধরন করা হয়েছিল ১১হাজার ৪৭০ হেক্টর,অর্জন হয়েছে ১১হাজার ৪৭০ হেক্টর, এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদী আগামজাতের ২৩৩৫ হেক্টর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ৩৪ হাজার ৬৬৯ মেঃটন, হেক্টরে ৩.০৪মেঃটন নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকের জমির পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে এক সুমিষ্ট ঘ্রাণে মন-প্রাণ জুড়িয়ে যায়। 

কৃষক সোনালী রোপা আমন কাটার পর তা মারাই করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহানাজ পারভীন জানান, ধন-ধান্যে পুষ্পে ভরা, আমাদের এ বসুন্ধরা, কবির এ ভাষ্যটি চলতি মৌসুমে বাস্তবে রূপদান করেছে কাউনিয়ার কৃষকেরা। রোপা আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে উপজেলায়। শীত আসার সাথে সাথে চলছে আমন ধান কাটা মারাই। চলছে অনেকের ঘরে নবান্ন উৎসবের আমেজ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার রোপা আমনের ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে কৃষক ভালো দাম পাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 

সান

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত