সুপার কাপ জিতল চেলসি
প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২১, ১০:৫৭ | আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:০৭
ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে নির্ধারিত ৯০ মিনিট সমানে সমান লড়াইয়ের পর শেষটা হলো ১-১ সমতায়। এরপর ম্যাচ গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের ৩০ মিনিটেও খেলার ফলাফল আসল না। এরপরে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ টাইব্রেকারে। আর সেখানেই চেলসির ত্রাতা হয়ে এলেন বদলি গোলরক্ষক কেপা আরিজবালাগা। চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী চেলসির মৌসুম শুরু হলো উয়েফা সুপার কাপ জয়ে।
বেলফাস্টের উইন্ডসর পার্কে বুধবার রাতে খেলার নির্ধারিত ৯০ মিনিট ১-১ গোলে সমতায় শেষ হয়। যেখানে হাকিম জিয়াচের গোলে দারুণ শুরু করে ইউরোপ সেরারা। দ্বিতীয়ার্ধে জেরার্দ মরেনোর নৈপুণ্যে সমতায় ফেরে ভিয়ারিয়াল। এরপর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এরপরেও ফলাফল না এলে টাইব্রেকারে নির্ধারণ হয় উয়েফা সুপার কাপের ভাগ্য। যেখানে টাইব্রেকারে ৬-৫ গোলে জয় লাভ করে চেলসি।
পেনাল্টি শুট আউটে দুই দলই প্রথম পাঁচ শটে চারটি করে গোল করে। ছয় নম্বর শটেও সফল উভয় পক্ষ। চেলসির সাত নম্বর শটটি আন্টোনিও রুডিগার জালে পাঠানোর পর ভিয়ারিয়ালের রাউল আলবিওলের শট রুখে দেন আরিজাবালাগা। শিরোপা জয়ের উল্লাসে ভাসে থমাস তুখেলের দল।
ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটের মাথাতেই লিড নিতে পারত চেলসি। কর্নারে টিমো ভারনারের শট লাফিয়ে ঠেকিয়ে দেন ভিয়ারিয়াল গোলরক্ষক। তিন মিনিট পর এনগোলো কান্তের দূরপাল্লার শট গোলপোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে আবারও হতাশ হয় চেলসি। তবে আর বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি চেলসিকে। ম্যাচের ২৭তম মিনিটে এগিয়ে যায় অল ব্লুজরা। বাঁ দিক থেকে কাই হাভার্টজের বাড়ানো পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে বাঁ পায়ের শটে গোলটি করেন হাকিম জিয়াচ।
তবে এরপর ঘুরে দাঁড়ায় ভিয়ারিয়াল। পিছিয়ে পড়ে দারুণ সব আক্রমণে চেলসির রক্ষণে ভয় ধরায় উয়েফা ইউরোপা লিগ চ্যাম্পিয়ন ভিয়ারিয়াল। ম্যাচের ৩২তম মিনিটে সেনেগালের বুয়ে দিয়ার শট দারুণভাবে রুখে দেন চেলসি গোলরক্ষক এডুয়ার্ড মেন্ডি। এর দুই মিনিট পর অন্যপাশে মার্কোস আলোনসোর নিচু শট ঝাঁপিয়ে ফেরান ভিয়ারিয়াল গোলরক্ষক সার্জিও আসেনহো।
পিছিয়ে পড়ার পর থেকে একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা ভিয়ারিয়াল বিরতির ঠিক আগে ভাগ্যের ফেরে গোল পায়নি। আলবের্তো মরোনোর কাছ থেকে বুলেট গতির ভলি ক্রসবার কাঁপায়। প্রথমার্ধের কোণঠাসা স্প্যানিশ দলটি বিরতির পর দারুণ খেলতে থাকে। সুযোগও আসতে থাকে; কিন্তু সাফল্য মিলছিল না।
বিরতি থেকে ফিরেই ম্যাচের ৫২তম মিনিটে হতাশা বাড়ে ভিয়ারিয়াল শিবিরে। এডুয়ার্ড মেন্ডির দুর্বল শট থেকে বল পেয়ে মরেনোকে সামনে বাড়ান ডিয়া। দ্রুত ডি-বক্সে ঢুকে স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডের নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন মেন্ডি। বল তার আঙুল ছুঁয়ে লাগে পোস্টে। আর তাতেই রক্ষা পায় চেলসি। তবে এরপর ম্যাচের ৭৩তম মিনিটে দিয়ার ব্যাকপাস পেয়ে জোরালো উঁচু শটে সমতা টানেন মরেনো। গত মৌসুমে ৩০ গোল করা স্ট্রাইকার ভিয়ারিয়ালের হয়ে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় এই নিয়ে শেষ ৯ ম্যাচে আট গোল করলেন।
এরপর খেলার বাকি সময় আর কোনো গোল না হওয়ায় নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হয় ১-১ সমতায়। তাতেই খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তবে সেখানেও আর কোনো গোল না হওয়ায় খেলার ভাগ্য নির্ধারণ হয় টাইব্রেকারে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে বদলি হিসেবে নামা স্প্যানিশ গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগা বনে যান চেলসির নায়ক।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত