সিলেটে রিসোর্টে ভাঙচুর-আগুন, ৪ যুগলকে বিয়ে দিলেন বিক্ষুব্ধরা
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:০০ | আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:২২
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার রিজেন্ট পার্কে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে ১৬ জন স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীকে আটক করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা রিসোর্টিতে ব্যাপক ভাঙচুর করে কয়েকটি কক্ষে আগুন ধরিয়ে দেন।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে রিজেন্ট পার্ক ঘেরাও করে শিক্ষার্থীদের আটক করেন দক্ষিণ সুরমার সিলাম এলাকার লোকজন। পরবর্তীতে তাদের পরিবারের জিম্মায় আটজনকে ছেড়ে দেয়া হয় ও বাকি আটজনকে স্থানীয় কাজী ডেকে বিভিন্ন পরিমাণের দেনমোহর ঠিক করে বিয়ে দিয়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিয়ে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলাম ইউনিয়নের কাজী আব্দুল বারী। বিবাহিতদের মধ্যে তিনজনের ১০ লাখ করে এবং একজনকে ১২ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। বিয়ে দেয়া চার যুগলের মধ্যে-সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ, ওসমানী নগর উপজেলার বাসিন্দা রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম এলাকার রিজেন্ট পার্কের উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে অসামাজিক কার্যকলাপ সংঘটিত হওয়ার অভিযোগ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নামে পার্ক হলেও এখানে তরুণ-তরুণীরা অবৈধ মেলামেশায় লিপ্ত থাকেন। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও প্রেমিক-প্রেমিকারা এসব কক্ষ ভাড়া নিয়ে নিরাপদে অসামাজিক কার্যকলাপ করেন।
রোববার দুপুর ২টার দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে পার্কে হানা দিয়ে তাদের কক্ষের ভেতরেই আটক করেন। এই ঘটনার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেখানে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম তাজুল, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সভাপতি আবেদ রাজা, বিশিষ্ট মুরব্বি ফজলু মিয়া, শফিকুল হক শফিক, ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম মাসুম, উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক রাসেল আহমদ ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহ আহমদসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ছুটে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং ওই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ডেকে বিয়ের ব্যবস্থা করেন।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম তাজুল বলেন, আমরা খবর পেয়ে মুরব্বিয়ানাদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরে আটক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের এনে আটজনকে বিয়ে পড়িয়ে দেই এবং বাকিদের পরিবারের জিম্মায় দিয়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মোগলাবাজার থানা পুলিশ যায়। তবে স্থানীয় মুরুব্বিরা ওই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ডেকে তাদের জিম্মায় দিয়ে দেন। তবে তিনি বিয়ের বিষয় সম্পর্কে জানেন না বলে জানান।
কা/আ
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত