সিরাজদিখান সন্তোষপাড়ায় হয়ে গেল মা দুর্গার কাঠামো পুজো
প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২১, ১০:৪৫ | আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৪
আজ বুধবার সকাল সাতটায় সিরাজদিখান সন্তোষপাড়া হয়ে গেল মা দুর্গার কাঠামো পুজো । মা দুর্গার কাঠামো পুজোর মধ্য দিয়েই সন্তোষপাড়া প্রয়াত ভোলানাথ ঘোষ (শিব বাড়ি তে) সন্তোষপাড়া প ায়েত কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে এবার মা দূর্গার পূজা। শারদীয়া দুর্গাপূজাকে ‘অকালবোধন’ বলা হয়। দুর্গাপূজা বা দুর্গোৎসব হল হিন্দু দেবী দুর্গার পূজাকে কেন্দ্র করে প্রচলিত একটি উৎসব।
দুর্গাপূজা সমগ্র হিন্দুসমাজেই প্রচলিত। তবে বাঙালি সনাতন হিন্দু সমাজে এটি অন্যতম বিশেষ ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব। আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষে দুর্গাপূজা করা হয়। আশ্বিন মাসের দুর্গাপূজা শারদীয়া দুর্গাপূজা নামে পরিচিত। দুই বাংলাতেই শারদীয়া দুর্গাপূজার জনপ্রিয়তা বেশি।
শারদীয়া দুর্গাপূজাকে "অকালবোধন" বলা হয় কারণ কালিকা পুরাণ ও বৃহদ্ধর্ম পুরাণ অনুসারে, রাম ও রাবণের যুদ্ধের সময় শরৎকালে দুর্গাকে পূজা করা হয়েছিল। সনাতন হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে, শরৎকালে দেবতারা ঘুমিয়ে থাকেন। তাই এই সময়টি তাদের পূজা যথাযথ সময় নয়। অকালের পূজা বলে তাই এই পূজার নাম হয় "অকালবোধন"। এই দুই পুরাণ অনুসারে, রামকে সাহায্য করার জন্য ব্রহ্মা দুর্গার বোধন ও পূজা করেছিলেন। কৃত্তিবাস ওঝা তার রামায়ণে লিখেছেন, রাম স্বয়ং দুর্গার বোধন ও পূজা করেছিলেন। তবে রামায়ণের প্রকৃত রচয়িতা বাল্মীকি মুনি রামায়ণে রামচন্দ্রকৃত দুর্গাপূজার কোনো উল্লেখ করেন নি। উপরন্তু রামায়ণের অন্যান্য অনুবাদেও এর কোনো উল্লেখ পাওয়া যায়না। তবে এই প্রচলিত তথ্য অনুসারে স্মৃতিশাস্ত্রসমূহে শরৎকালে দুর্গাপূজার বিধান দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা ও বাংলা দেশে দেবী দুর্গার যে মূর্তিটি সচরাচর দেখা যায় সেটি পরিবারসমন্বিতা বা সপরিবার দুর্গার মূর্তি। এই মূর্তির মধ্যস্থলে দেবী দুর্গা সিংহবাহিনী ও মহিষাসুরমর্দিনী তার মুকুটের উপরে শিবের ছোট মুখ ,দেবীর ডানপাশে উপরে দেবী লক্ষ্মী ও নিচে গণেশ, বামপাশে উপরে দেবী সরস্বতী ও নিচে কার্তিক। মহিষাসুর অসুর, অর্থাৎ দেবদ্রোহী। তাই দেবী প্রতিমায় দেবীর পদতলে দলিত এই অসুর ‘সু’ এবং ‘কু’-এর মধ্যকার চিরকালীন দ্বন্দে অশুভ শক্তির উপর শুভশক্তির বিজয়েরর প্র প্রতীক মা দুর্গার কাঠামো পুজো দিয়ে শুরু হল মাতৃ আরাধনা।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত