সিরাজদিখানে কাগজে কঠোর লকডাউন, রাস্তায় ভিন্নচিত্র

করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ও মৃত্যুরোধে চলমান লকডাউন আরও পাঁচদিন বাড়ানো হলেও মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানের বেশীরভাগ সড়কের দৃশ্য ভিন্ন। কাগজে-কলমে লকডাউন চললেও সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। ফলে লকডাউন এখন কথার কথায় পরিণত হয়েছে। 

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, গত ২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউন গত বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সংক্রমণ ও মৃত্যু না কমায় লকডাউনের সময়সীমা আরও পাঁচদিন বাড়িয়ে ১১ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে। সেই হিসেবে সারাদেশের মত মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানে কঠোর লকডাউন আরোপ থাকলেও বাস্তবচিত্র ভিন্ন। বিশেষ করে গত ১ আগস্ট থেকে পোশাক কারখানাসহ রফতানিমুখী সব শিল্পপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পর থেকে লকডাউন বাস্তবায়িত হচ্ছে। কঠোর লকডাউনের প্রথমদিকে রাস্তায় সেনাবাহিনী, বিজিবি এবং র‌্যাবের চেকপোস্টে টহল বসিয়ে পুলিশের অপরাধ বিভাগ ও ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তল্লাশি ছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে দেখা গেছে। বর্তমানে সেই চিত্র চোখে কম পড়েছ। 

আজ শুক্রবার (৬ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা গেছে, সিরাজদিখানের বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়িসহ অন্যান্য যানবাহনের চাপ ক্রমেই বাড়ছে। বিভিন্ন সড়কে মাঝে মধ্যেই যানজট তৈরি হচ্ছে। পুলিশকে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। শুধু ব্যক্তিগত গাড়িই নয়, রাস্তায় মানুষের উপস্থিতিও বর্তমানে বেড়েছে। স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত¡ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ হ্রাসে দেশের শতভাগ মানুষকে মাস্ক পরিধানসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কিন্তু কে শুনে কার কথা। 

সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আগের তুলনায় মাস্ক ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়লেও সঠিকভাবে মাস্ক পরিধানকারীর সংখ্যা খুবই কম।