সিরাজদিখানে করোনার টিকা নিতে শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড়

  লতা মন্ডল-সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২০:৫২ |  আপডেট  : ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৩৮

মুন্সিগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও অস্থায়ী কেন্দ্র গুলোতে করোনার টিকা নিতে জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। ছিল দুই সারির বিশাল লাইন। সবাই গাদাগাদি করে দাঁড়িয়েছে। কে আগে টিকা নেবে সেই প্রতিযোগিতা লাইনের বিভিন্ন অংশে। ছিল না তেমন সামাজিক দূরত্বের উপস্থিতিও। অভিভাবকরা বলছেন, শিক্ষার্থীর সংখ্যার তুলনায় জায়গা ছোট হওয়ায় এমন পরিস্থিতি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তরা বলছেন, একই দিনে একাধিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা টিকা নিতে আসায় টিকা কেন্দ্রে বেশি ভিড় হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে দেখা যায় এমন চিত্র। 

স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জ দীনেশ চন্দ্র মন্ডল জানাণ, এই উপজেলায় ৩৪টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদ্রাসা ১০টি,কওমী মাদ্রাসা ৮৩ ও ৫টি কলেজের  ১২-১৭ বছর বয়সের প্রায় ৩০ হাজার ৮শ ৫০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ে টিকার কার্যক্রম শেষ করার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বয়স নির্ধারণ করে একটি তালিকা দেওয়া হয়। সেই তালিকা অনুযায়ী দেওয়া হচ্ছে টিকা। 

গণটিকা কর্মসূচি বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আঞ্জুমান আরা সাংবাদিকদেরকে বলেন, গত ৯ জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এজন্য অস্থায়ীভাবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২টি বুথের মাধ্যমে টিকা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে শুরু করে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বুথে টিকা দেওয়া হচ্ছে। ৯ জানুয়ারি থেকে  আজ ২৬ তারিখ বিকাল ৫টা পর্যন্ত ২লাখ ৩১ হাজার ৭শ ৭জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে টিকা আজ ২৬ তারিখ এই কার্যক্রম শেষ হবে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় ইউনিয়নভিত্তিক আয়োজন করা হয় গণটিকা কার্যক্রমের। তবে এখন  দ্বিতীয় ডোজ টিকা কমিউনিটি ক্লিনিক থেকেও টিকার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি বুস্টার ডোজ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 

সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের তথ্যানুসারে, গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে উপজেলায় শুরু হয় টিকার কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে ২ লাখ ৩১ হাজার ৭০৭ জনকে প্রথম ডোজ ও ১লাখ ৫১ হাজার ৭০৩ জনকে দেওয়া হয় দ্বিতীয় ও ৫হাজার ৪শত ৬৮ জনকে তৃতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। করোনা মহামারির প্রথম থেকে এই পর্যন্ত ৮ হাজার ৯২টি নমুনা পরীক্ষা করে প্রায় ১৯৮৭ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায় বলে তথ্য নিশ্চিত করেন। এ পর্য়ন্ত সরকারী তথ্য মোতাবেক  করোনা পজিটিভ হয়ে এই উপজেলায় ১১ জন মৃত্যু বরন করেছেন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত