সিরাজদিখানে অভিনব প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ১৫ লাখ লাখ টাকা নিয়ে উধাও তিন প্রতারক

  সিরাজদিখান (মুন্সগিঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:৩৬ |  আপডেট  : ৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:২০

মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানে অভিনব প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মোঃ শামীম, মোঃ আলামীন ও পারভেজ নামের তিন প্রতারকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আঃ মালেক মৃধা।

জানা যায়, ভিন্নভাবে একই প্রতারক চক্রের কাছে প্রতারিত হয়েছেন সিরাজদিখান উপজেলার ঘনশ্যামপুর গ্রামের মৃত জহির উদ্দিন মৃধার ছেলে আব্দুল মালেক মৃধা । পরিচয়ের মাধ্যমে প্রতারকদের সাথে জমিজমা ক্রয়-বিক্রির ব্যবসা ও ওমেগা কোম্পানীর হাত ঘড়ির ব্যবসা করার ফাঁদে ফেলে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিয়েছে প্রতারক চক্র।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী আঃ মালেক মৃধার কাছ থেকে বিভিন্ন মেয়াদে  ১৫লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এই টাকা শেখরনগর বাজার রোকন শেখের দোকানে বসে লেনদেন হয় বলে জানান আব্দুল মালেক মৃধা। এরমধ্যে সারে ৬লক্ষ টাকা ৩টি মোবাইল নাম্বারে নগদ অ্যাকাউন্টে ও বাকি ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা  নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা সাদ্দাম  মার্কেট তুষার ধারা, ১নং সেক্টরের ৭নং ভাড়াকৃত বাসায় বসে নগদ  টাকা প্রদান করেন।

প্রতারণার শিকার আঃ মালেক মৃধা জানান, প্রতারক মোঃ শামীম তার কাছে পরিচয়ের মাধ্যমে প্রতারকদের সাথে জমিজমা ক্রয় বিক্রির ব্যবসার প্রস্তাব নিয়ে আসেন।  এর পর ওমেগা কোম্পানীর হাত ঘড়ির ব্যবসায় এ বিশাল কার্যক্রম ডিলারদের মাধ্যমে করা হবে। বিরাট লাভ হিসাব করে লোভের ফাঁদে পা দেন আঃ মালেক মৃধা । তিনি যোগাযোগ বাড়ান শামীমের সঙ্গে। এরপর শামীম তাকে নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা সাদ্দাম  মার্কেট তুষার ধারা, ১নং সেক্টরের ৭নং ভাড়াকৃত বাসায় তার লোকজনের কাছে ডেকে নিয়ে যান। তারা তাকে বিশ্ব বিখ্যাত ওমেগা ব্র্যান্ডের ঘড়ির ব্যবসার অফার করেন। এ ব্যবসায় বিনিয়োগ করলে ১ লাখে ৩০ হাজার টাকা করে লাভ দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। ১৫ লাখ টাকা নেওয়ার কিছুদিন পর আমার সাথে ঠিকঠাক যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় অভিযোগে বলা হয়। 

প্রতারিত হওয়া আঃ মালেক মৃধা আরোও বলেন, আমার কাছ থেকে তারা ১৫ লাখ টাকা নিয়েছে। পরে আমি তাদের বাসায় গেলে তাদের বাসা তালা ঝুলানো দেখতে পেয়ে তাদের খোঁজ জানতে চাইলে বাসার দাড়োয়ান জানান তারা বাসা ছেড়ে চলে গেছেন। এরপর অনেক খোজাখুজি করে তাদের খোঁজ না পেয়ে শুক্রবার রাতে সিরাজদিখান থানায় অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার অফিসার্স ইনচার্জ খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানায়  অভিযোগ পেয়েছি। প্রতারক চক্রের ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছি বলেও জানান তিনি।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত